আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা সরকার ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা জানান। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আল জাজিরার ক্ষমা চাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই বডিগার্ড নিয়োগ করেননি। তার দলের লোকেরাই তার বডিগার্ড। এদিকে আল জাজিরায় প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক নয় মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এটি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। গতকাল দুপুরে গুলশান পুলিশ প্লাজায় নৌ-পুলিশের বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দেখুন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইএসপিআর ওই প্রতিবেদনের জবাব দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক নয়। এটা হলুদ সাংবাদিকতা। এগুলো সাংবাদিকতার নর্মসের ভেতরে পড়ে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, যারা এটা করেছে তাদের একটি উদ্দেশ্য ছিল। সে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা মনে করি এগুলো ভিত্তিহীন এবং দেশবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
অন্যদিকে প্রতিবেদনটি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের নোংরা বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ওবায়দুল কাদের। নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে স্বাধীনভাবে কাজ করছে, সরকারের সমালোচনাও করছে। দেশের এতো ভাইব্র্যান্ট এবং অ্যাক্টিভ মিডিয়া যেখানে কোনো ধরনের তথ্য পায়নি সেখানে আল জাজিরা টেলিভিশনে শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসত্য তথ্য প্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়। লন্ডনে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে এবং উস্কানি দিচ্ছে, সেই অশুভ চক্রের যোগসাজশ রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইন নিজস্ব গতিতে এবং স্বাধীনভাবে চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন নিজস্ব আইনগত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অনুযায়ী চাপমুক্ত হয়ে কাজ করছে। কোন ব্যক্তি বিশেষের দায়কে সরকার প্রধানের সাথে লিংক করা সাংবাদিকতার নীতিবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে- এটি সঠিক সাংবাদিকতা নয়। দেশে-বিদেশে বসে দেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করা কোন কাজে আসবে না বরং বুমেরাং হবে। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আল জাজিরার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলক ও অপপ্রচারের নোংরা বহিঃপ্রকাশ।