চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) আয়োজিত ‘ইউজ অ্যান্ড বেসিকস অব আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গতকাল বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) এবং সিভাসুর মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন পর্যায়ের ৩০০ জন সরকারি ভেটেরিনারি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রতি ব্যাচে ৩০ জন করে মোট দশটি ব্যাচের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়। প্রতিটি ব্যাচকে ৫ দিন করে হাতে–কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
মেডিসিন অনুষদের একাডেমিক ভবন–১ এর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত দশম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। গেস্ট অব অনার ছিলেন এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসীম উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন এবং বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কো–অর্ডিনেটর মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের থেরিওজেনোলজি ইউনিটের প্রফেসর ড. আজিজুন্নেছা।
স্বাগত বক্তব্যের পর তিনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আতিয়ার রহমান। প্রধান অতিথি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে যোগ্যতা ও দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে হবে। সর্বক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন ব্যবহার করতে হবে–যাতে কৃষকরা উপকৃত হন।
দেশের মানুষের প্রোটিনের যোগান দিতে কাজে করেন ভেটেরিনারিয়ানরা উল্লেখ করে এলডিডিপি’র প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসীম উদ্দীন প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। গরীব কৃষককে সেবা দিতে হবে। তাহলেই এই প্রশিক্ষণ সার্থক হবে।
শেষে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।