কারফিউ চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পটিয়ায় চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ্র নেতৃত্বে পুলিশের এক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে মহাসড়কের ইন্দ্রপুল এলাকায় এ মহাড়া পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, দেশে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনের আড়ালে সরকার পতন আন্দোলন করতে চেয়েছে। বাংলাদেশের গর্ব মেট্রোরেল, ডাটাসেন্টারসহ অসংখ্য স্থাপনা কয়েকদিনেই ধ্বংস করা হয়েছে। যারা দেশের স্বাধীনতাকে এখনো মেনে নেয়নি, তাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক ন্যাক্কারজনকভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
এটা পৃথিবীর যে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে হার মানায়। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে তারা চট্টগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় সন্ত্রাসীদের এনে জড়ো করে। তাদের কর্মকান্ডকে আইনশৃংখলা বাহিনী প্রতিরোধ করেছে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৌহিদ আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদন্নোতি প্রাপ্ত) কবির আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলামসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, পটিয়া, সীতাকুন্ড, লোহাগাড়া, সাতকানিয়াসহ যে সমস্ত এলাকায় রেকর্ড খারাপ সে সমস্ত এলাকায় আমরা সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছি। পুলিশী অভিযান তৎপর থাকার কারণে চট্টগ্রামের ইনশাআল্লাহ জেলাও কোন বড় ধরণের নাশকতা করতে পারেনি। চট্টগ্রামে প্রশাসনের অভিযানে অনেকেই এখান থেকে পালিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছে।
তিনি জানান, চট্টগ্রামে এসব সন্ত্রাসী গ্রুপ যাতে কোন ধরণের ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে না পারে, তার জন্য আমরা আগেভাগে খবর পেয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা নজরদারী রেখেছি। যার কারণে তারা কোথাও বড় ধরণের কোন নাশকতা করতে পারেনি। তাছাড়া চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্র শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি। এর সুফল পাওয়া গেছে।
একটি বিশেষ গোষ্টির সন্ত্রাসীরা শুধু চট্টগ্রাম না তাদের পরিকল্পনা ছিল পুরো দেশকে এটকা ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করবে এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবে। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, কোষ্টগার্ড, আনসার বাহিনী ও সুধি সমাজ সবাই মিলে এ ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছি। যারা কোটা আন্দোলন করেছে তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছে এটা সন্ত্রাসী ও বিশেষ গোষ্ঠীর কাজ। যারা দেশের নির্বাচনে আসেনি এবং দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে তাদের বীজ আমরা উৎপাটন করবো। তাদের আন্দোলনের আরো অনেক পন্থা ছিল। এরা পাকিস্তানের দোসর।