বোরকা পরে বড় বোনের দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছিল ছোট ভাই

৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

পটিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় বোরকা পরে বড় বোনের হয়ে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছিল ছোট ভাই মো. ইব্রাহিম। হাতেনাতে ধরা পড়ার পর পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনীর ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। পাশাপাশি আগামী দুই বছর বড়বোন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না মর্মে দণ্ডও ঘোষণা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইব্রাহিম পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের মুকুটনাইট এলাকার মৃত ছৈয়দ হোসেন এর পুত্র। জানা গেছে, পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে আরবী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলছিল গতকাল। এসময় কেন্দ্রের ৬ নম্বর হলে ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন রইসুল ইসলাম, তাহেরা বেগম ও আকতার হোসেন। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শক ছিলেন পটিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস। আটকের পর তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে কেন বোরকা পরে পরীক্ষায় অংশ নিল জাতে চাইলে সে জানায়, তার বড় বোন গত ২০২৩ সালের দাখিল পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। তাই বোনের জীবনের কথা চিন্তা করে নিজে বোনের প্রবেশপত্র নিয়ে বোরকা পরে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে আসে। বড় বোন রহমানীয়া মোহাম্মদীয়া কাদেরীয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শক ও পটিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, আরবী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা একঘণ্টা পার হলে হলের ইনভিজিলেটর পরীক্ষার্থীদের খাতায় স্বাক্ষর করতে যান। এসময় ছবির সঙ্গে চেহারার মিল খোঁজার লক্ষ্যে তার সঙ্গে কথা বলেন। এসময় বোরকা পরা ইব্রাহিম কোনো কথার উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকে। এতে ইনভিজিলেটরের সন্দেহ হয়। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করলে তারা এসে তার মুখের কাপড় খুলতে বললে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধউখিয়ায় মোড়ক আইন অমান্য করায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, সেঞ্চুরি ল্যাব সিলগালা