হালদা নদী থেকে ডিম আহরণকারী গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকার কামাল সওদাগর। পূর্ব পুরুষের এ পেশায় ৪৫ বছর ধরে আছেন প্রায় ৬০ বছর বয়সী কামাল। বাবা সৈয়দ আহম্মদ মাস্টার ডিম আহরণ না করলেও দাদা মতিউর রহমান সিকদারের মাধ্যমে ডিম আহরণের হাতে খড়ি কামালের। বর্তমানে তিনি ২ ছেলে ও চার কন্যা সন্তানের জনক।
কামাল সওদাগর জানান, হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার পাঁচটি জো চলে গেলেও ডিম আহরণকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। অমাবস্যার শেষ জো’তে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণের ফলে নদীতে ঢলের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। গত রোববার থেকে মা মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করলে মধ্যরাতে পুরোদমে ডিম ছাড়ে। এবার ডিমের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আহরণকারীরা মহাখুশি। তিনি এবার পাঁচটি নৌকায় প্রায় ২৫ বালতি ডিম পেয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, শেষ জো’তে পরিবেশ পেয়ে মাছ ডিম ছেড়েছে। রোববার সকাল ও বিকাল বেলায় জোয়ার ভাটার সময় মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে। মধ্য রাতে মাছ ডিম ছাড়া শুরু করে। সোমবার পর্যন্ত ডিম ছাড়া অব্যাহত ছিল। এবার শেষের এই তিথিতে হঠাৎ করে এত ডিম ছাড়বে ধারণার বাহিরে ছিল।
তিনি বলেন, ডিম থেকে রেনু ফোটানোর জন্য নদীর দুই পাড়ে পাঁচটি হ্যাচারি ও ৬৮টি মাটির কুয়া রয়েছে। মাছ যে পরিমাণ ডিম ছেড়েছে সেই পরিমাণ ডিম থেকে রেনু ফোটানোর ব্যবস্থা না থাকায় অনেক ডিম আহরণকারী যথেষ্ট ডিম সংগ্রহ করে নদী থেকে উঠে পড়েন। বিগত দুই বছরের চেয়ে এ বছর নদীতে ডিমের পরিমাণ বেশি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।












