চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর (২০২১–২০২২) পরীক্ষার ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে আগের ফলাফলের তুলনায় পাশের হার ও সিজিপিএ’র সংখ্যা বেড়েছে ২৫ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান চবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ফলাফল নিয়ে বড় একটি সমস্যা হয়েছিল। ২০২১ সালের পরীক্ষায় ১১৭ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করে। এর মধ্যে সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট পেয়েছিলো ১৯ জন শিক্ষার্থী, ৩.২৫ পেয়েছিল মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থী এবং বাকিরা ৩ পয়েন্টের নিচে পেয়ে পাশ করে। তো সাধারণত কোথাও আবেদনের জন্য অন্তত ৩ পয়েন্ট প্রয়োজন হয়। জানা গেছে, এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে জানান তাদের এ ফলাফল অপ্রত্যাশিত, এবং ফলাফল যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। তারা এ ফলাফল মানবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে স্বাভাবিকভাবে ফলাফল পুনরায় মূল্যায়নের সুযোগ নেই। অনেক শিক্ষার্থী জানান, ৮ বছর পড়াশোনা করে এখন ফেল করে যাচ্ছি, আবার যারা পাশ করেছে তাদের তেমন কেউ কোথাও আবেদন করতে পারবে না।
প্রশাসনের কাছে গেলে শিক্ষার্থীদের আইনের কথা বলা হতো। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, পরবর্তীতে এ ঘটনায় সিন্ডিকেট যে কমিটি গঠন করেছিল তারা রিপোর্ট পেশ করার পর, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সিন্ডিকেট ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এতে আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বেশি পাশ করেন। এর মধ্যে সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট পায় ৭৫ জন, ৩.২৫ পায় ৩৫ জন এবং অবাক করার বিষয় ৩.৫০ পায় একজন শিক্ষার্থী। আগে যেখানে ফেল করে ৪১ জন সেখানে পুনরায় মূল্যায়নের পর তা ১০ জনে নেমে আসে। তিনি আরও বলেন, ফলাফল পুনরায় মূল্যায়নের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ভিন্ন মত দিয়েছিলেন। কেননা এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নেই। তবে, আমরা বিভাগের সকল শিক্ষক এবং পরীক্ষা কমিটির সাথে আলোচনা করেছি, তারা সকলেই একমত হয়েছেন যে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তাই ফলাফল পুনরায় মূল্যায়ন করা হয়েছে।