এসএসসির রেজাল্ট পেয়ে কলেজে ভর্তির আগে পরিবারের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন বগুড়ার কিশোর জুহায়ের আয়মান আহনাফ। কথা ছিল বেড়ানো শেষে কলেজের পড়ালেখায় মন দেবে। কিন্তু সমুদ্র সৈকতে পানিতে নেমে ভেসে যায় আহনাফ। আনন্দ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া আহনাফের নিথর দেহ ফিরলো বাড়িতে।
গত রোববার কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় জুহায়ের আয়মান আহনাফ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া সৈকত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের বাড়ি বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাটনাপাড়া।
সী সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়রকর্মী ওসমান জানান, রোববার বেলা ৩টার দিকে লাবণী পয়েন্ট সৈকতে গোসলে নেমে তিন পর্যটক হঠাৎ স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল। অন্য পর্যটকদের চিৎকারে রেসকিউ বোটের সহযোগিতায় সী সেইফ লাইফগার্ড কর্মীরা দুই জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু আহনাফ নিখোঁজ হন। এরপর দমকলবাহিনী, বিচকর্মী, সী সেইফ লাইফগার্ডরা নানাভাবে রাত ১২টা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তাকে পেতে ব্যর্থ হন। এর মধ্যে সোমবার সকালে সমিতিপাড়া এলাকা থেকে খবর আসে সেখানকার সৈকত পয়েন্টে একটি মরদেহ ভেসে এসেছে। সী সেইফ লাইফগার্ডের স্থানীয় সদস্যরা এলাকাবাসীর সহায়তায় মরদেহটি তীরে তুলে আনে। নিখোঁজের স্বজনরা আহনাফের মরদেহ বলে শনাক্ত করেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম বলেন, নিহতের মামা মো. মোজাহিদুর রহিম সাথে ছিলেন। তিনিসহ পরিবারের সদসদের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা বাড়ির পথে রওনা দেন।











