সচেতনতাই অপচয় রোধের বড় অস্ত্র

ওসমান এহতেসাম | রবিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২২ at ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

খাদ্য ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। একদিকে পৃথিবী জুড়ে বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা, অন্যদিকে খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে ডাস্টবিনে। একদিকে খাবার অপচয়ের উৎসব হয়, অন্যদিকে ক্ষুধার্ত মানুষ অনাহারে থেকে মৃত্যুর প্রহর গোনে। মানবতার কী নির্মম পরিহাস! খাদ্যের অপচয়-এই মুহূর্তে মানবতার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা ইউনেপ ২০২১ সালে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স নামে রিপোর্ট প্রকাশ করে যাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বছরে এক কোটি ৬ লাখ টন খাদ্য অপচয় হয়। মাঠে শস্য উৎপাদন হোক কিংবা সবজি, ফল, মাংস, ডিম বা দুধ যাই হোক না কেন, সেটি মানুষের খাবারের প্লেটে যদি না পৌঁছায়, অথবা প্লেটে পৌঁছেও নষ্ট হয় তবে সাধারণভাবে তাকে খাদ্য অপচয় বলা যায়।

আমরা দেখেছি নষ্ট বা অপচয় দু’টি পর্যায়ে ঘটে। প্রথমটি খাদ্যের উৎপাদন থেকে বিক্রয়কেন্দ্র পর্যন্ত পুরো সরবরাহ-শৃঙ্খলটি। আর, দ্বিতীয়টি ভোক্তার খাদ্য নির্বাচন থেকে তার ব্যবহার পর্যন্ত। উন্নত দেশগুলিতে খাদ্যের অপচয় বেশি হয় দ্বিতীয় পর্যায়ে। মনে রাখবেন, খাদ্যের অপচয় শুধু খাবারের অপচয় নয়, এর মানে হচ্ছে অর্থের অপচয়, পানির অপচয়, জ্বালানির অপচয়, ভূমির অপচয় এবং পরিবহণের অপচয়।

এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন অপচয়ের হাত থেকে পরিত্রাণের পথ খোঁজা। ফসলের উৎপাদন, খাদ্য-সরবরাহ শৃঙ্খলে খাদ্য অপচয়ের সমাধানে সরকারি, বেসরকারি সব ক্ষেত্রেরই এগিয়ে আসা উচিত। ভোক্তা হিসেবে আমাদেরও অনেক কিছু করার আছে। সচেতনতার অভাবে ভাঁড়ার, রান্নাঘর, ফ্রিজ, গার্হস্থ্য পরিসরে খাবার কম নষ্ট হয় না। শুধু কেনার তাৎক্ষণিক তাড়নায় নয়, খাদ্য কিনতে হবে প্রয়োজন অনুযায়ী আগে থেকে প্রস্তুত তালিকা অনুযায়ী। মনে রাখবেন, সচেতনতাই এই অপচয় রোধের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়কে বিশৃঙ্খলা রোধে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধভালোলাগা- ভালোবাসা এক নয়