গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে পরিবেশন করা হয় প্রসেনিয়াম প্রযোজিত নাটক ‘সারারাত্তির’। নাটকটি রচনা বাদল সরকার, নির্দেশনায় মোকাদ্দেম মোরশেদ। নাটকের গল্পে দেখা যায়, বর্ষামন্দ্রিত ঝড়জলের রাতে এক দম্পতি আটকে যায় খোলামাঠের ধারে একটি পোড়োবাড়িতে। ওরা বেরিয়েছিল ছুটিযাপনে। রাত্তিরটা সেখানে কাটানো ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। আর সেখানেই আবির্ভূত হলো, তৃতীয় চরিত্রটি, পোড়োবাড়ির প্রৌঢ় মালিক। নাটক কিংবা নাটকীয়তার শুরু তখনই। ভুতুড়ে আলো–আধারিতে প্রৌঢ়ের পরিচয়, আতিথেয়তা, একরাত্তিরের আন্তরিকতা, এসবের আড়াল ডিঙিয়ে যা মূর্ত হয়ে তিনজনের সামনে এসে দাঁড়ায়, তা হলো সম্পর্কের প্রতিরূপ; যা এতদিন এই দম্পতির কাছে অজানা, অচেনা ছিল।
সাত বছরের অভ্যস্ত দাম্পত্যের শেকলে বন্দী হয়ে–পড়া দম্পতিটি ধীরে ধীরে অনুধাবন করতে পারে, কাছে থাকলেই কাছের মানুষ হওয়া যায় না হয়তো। ফাঁকি ছিল না কোথাও, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই বড়ো ফাঁক ছিল ওদের সম্পর্কের বুননে। আর এই উপলব্ধির আয়নায় দুজনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে সম্পর্কের সেই অদেখা রূপকে আবিষ্কারে অণুঘটক হয়ে কাজ করে এই তৃতীয় ব্যক্তিটি। রাত গভীর হতে থাকে, বৃষ্টিপ্লাবিত রাতে ভেসে যায় ছকবাঁধা সংস্কারের প্রাচীর, রাত্রি শেষ হতে–হতে জেগে ওঠে অন্যরঙের এক প্রেমময় দিগন্তরেখা। রেখে যায় একটি প্রশ্ন। এ রাত কি সত্য? এ রাত কি সত্যিই এসেছিল এদের জীবনে? নাকি শুধুই এক অলীক কল্পনা? কেবলই কারো এক দুঃস্বপ্নের রাত? কিংবা কারো স্বপ্নেবোনা একটি রাত! সারারাত্তির!
সারারাত্তির এর প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করছেন মিশফাক রাসেল, সৈয়দ হোসেন বাবু ও হ্যাপী চৌধুরী কোরিওগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করেছেন প্রবাল চৌধুরী, আনিকা ফেরদৌস, প্রিয়ন্তি দাশ পৃথা, জারিন বিনতে জসিম, সুহাইলা আফরোজ, উদাইসা মুনতাহানা, রূপকথা দাশ। আলোক পরিকল্পনা করেছেন মোসলেম উদ্দিন শিকদার এবং মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনা করেছেন সিরাজাম মুনিরা স্বর্ণা। কোরিওগ্রাফি হ্যাপী চৌধুরী, আবহ পরিকল্পনায় মোকাদ্দেম মোরশেদ, শব্দ প্রক্ষেপণে দিদারুল আলম, আলোক প্রক্ষেপণে মোহাম্মদ হোসেন। নাটকটির প্রযোজনা অধিকর্তা ফারজানা মুনমুন ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আলাউদ্দিন ফরহাদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।