শাড়ি-পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি, তরুণীদের গাউন

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

ঘনিয়ে এসেছে শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার আনন্দকে আরো রঙিন করে তুলতে সব বয়সীদের চাই নতুন জামা। বিশেষ করে বাঙালির যেকোনো উৎসবে শাড়ি-পাঞ্জাবির সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে। সেজন্য পূজার মার্কেটে শাড়ি-পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে গাউন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর পূজার আগে করোনার কারণে অনেক বিধিনিষেধ ছিল। স্বাভাবিকভাবে তারা ব্যবসা করতে পারেনি। এবার পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে বেচাকেনা করতে পারছেন। পূজার বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে।
গতকাল সোমবার নগরীর টেরিবাজার, রেয়াজুদ্দিন বাজার, নিউ মার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমণ্ডি লেইন, ভিআইপি টাওয়ার, আমিন সেন্টার, ইউনেস্কো সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, আফমি প্লাজা ও শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা থরে থরে কাপড় সাজিয়েছেন। বিক্রিও করছেন। অনেক বিক্রেতা ক্রেতাদের পছন্দের জামা দেখাচ্ছেন। ক্রেতারা কালার ডিজাইন পছন্দ হলেই কাপড় কিনে হাসিমুখে বাড়ির ফিরছেন। টেরিবাজারের একটি সুপারমলের বিক্রেতা মো. আসিফুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত শাড়ি পাঞ্জাবিই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। এখন যেহেতু গরমের দিন, তাই সুতির জামার বিক্রি সবচেয়ে বেশি চলছে। এছাড়া কিছু ক্রেতা সিল্কের পাঞ্জাাবি ও কাতান শাড়িও কিনছেন।টেরিবাজারে আসা ক্রেতা অনন্যা সেন শুভ্রা বলেন, নতুন জামা ছাড়া পূজার কথা কল্পনা করতে পারি না। অন্য সময়ে কেনাকাটার তুলনায় পূজার কেনাকাটায় অন্য রকম একটা আমেজ থাকে। পূজায় নিজের জন্য কেনার চেয়ে ছোটদের জামা কিনে দিয়ে বেশি আনন্দ পাওয়া যায়। কারণ ছোটরা নতুন জামা পেয়ে খুব উচ্ছ্বসিত হয়। এটি দেখতে খুব ভালো লাগে। আজকে (গতকাল) আমি নিজের জন্য শাড়ি নিলাম এবং ছোট বোনের জন্য ফ্রক কিনেছি। আরো কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা বাকি আছে।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আহমদ হোসাইন বলেন, পূজার আর বেশি দিন বাকি নেই। তবে মার্কেটেও বিক্রির ধুম পড়েছে বলা যায়। দিনের বেলায় ক্রেতা সমাগত খুব বেশি না হলেও পড়ন্ত বিকেল থেকে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। এখন পর্যন্ত যে বেচাবিক্রি হচ্ছে আমরা সন্তুষ্ট।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন বলেন, পূজা উপলক্ষে মার্কেটে আগের তুলনায় ভিড় বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন ফ্যাশন ডিজাইনের জামা কাপড় নিয়ে এসেছে।
জহুর হকার্স মার্কেটে আসা ক্রেতা সুকোমল কান্তি শীল বলেন, পূজা উপলক্ষে কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। এখন পর্যন্ত নিজের জন্য একটি পাঞ্জাবি এবং মায়ের জন্য একটি শাড়ি কিনেছি। তবে পূজাকে কেন্দ্র করে বিক্রেতারা জামা কাপড়ের দাম বেশি হাঁকছেন।
এদিকে নগরীর তামাকুমণ্ডি লেইনের ব্যবসায়ীদের যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। গতকাল বিকেলে কথা হয় অনির্বাণ চৌধুরীর সাথে। তিনি জানান, পূজা আসলে মার্কেটে কেনাকাটা করতে ভালো লাগে। এতে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। সেই শৈশবে বাবার হাত ধরে মার্কেটে যেতাম। বাবা সাধ্যের মধ্যে জামা কিনে দিতেন। সেই জামা পড়ে বন্ধুদের মণ্ডপে মণ্ডপে ছুটে বেড়াতাম। কি যে আনন্দ লাগত।
তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, পূজার মার্কেট জমে উঠেছে। পূজার শুরুর আর ৪ দিন বাকি। আগামী শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিতেও আমাদের মার্কেট খোলা থাকবে। গত বছর করোনার কারণে আমরা পূজার আগে ব্যবসা করতে পারিনি। এ বছর মার্কেটে ক্রেতাদের উপস্থিতিও আশাব্যাঞ্জক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ব পর্যটন দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়ে পর্যটনে সমৃদ্ধির আশা