এবার বাংলাদেশে ৩০ রোজা পূর্ণ হওয়ার পর ঈদ আসার সম্ভাবনা দেখছে সরকার; ঈদের ছুটিও সাজানো হয়েছে সেভাবে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংয়ে ৩০ রোজা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। একদিন আগে ২৯ রোজার পরই ঈদের চাঁদ দেখার সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে যাতায়াতের সুবিধার্থে ছুটি একদিন (৯ এপ্রিল) বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল আইন–শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, ‘ছুটির ব্যাপারে কাল একটা সুপারিশ যাবে সরকারের কাছে, একদিন বাড়ানো যায় কি–না। ৯ এপ্রিল ছুটির আওতায় আনার সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদে যাবে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে।’ খবর বিডিনিউজের।
সেই সুপারিশ নাকচ হওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ক্যালেন্ডারে যেভাবে ছুটি করা আছে ওইভাবেই ছুটি থাকবে। ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা থাকবে। সুপারিশের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে নাকচ করার কিছু নেই। যেমন ছিল তেমন থাকছে।’
এবার ঈদের ছুটি আছে ১০ এপ্রিল বুধবার থেকে ১২ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত। এরপর ১৩ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি। ঈদের ছুটির আগেও ৭ এপ্রিল রোববার শবে কদরের ছুটি। মাঝখানে ৮ ও ৯ এপ্রিলের মধ্যে একদিন ছুটিতে চলে গেলে অবশিষ্ট ৮ এপ্রিল একদিনের ছুটি নিয়ে ১০ দিনের লম্বা ছুটি বানাতে পারতেন সরকারি চাকুরেরা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রিসভা মনে করে, এমনিতেই এবার বেশ অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হলে ছুটির মেয়াদ দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে। সেই বিবেচনায় মন্ত্রিসভা ৯ তারিখ ছুটির সুপারিশ অনুমোদন করেনি।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এবার রমজান মাসের আগের দুটি মাস ২৯ দিনের ছিল। সাধারণত পর পর তিনটি মাস ২৯ দিনের হয় না। এটাই হচ্ছে সাধারণ নিয়ম। আবহাওয়া অধিদপ্তরের রিপোর্ট পর্যালোচনা করেও এ বছর রমজান ৩০ দিনের হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে।’ কারও প্রয়োজন হলে ঐচ্ছিক ছুটি থেকে কাটানোর সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সচিব বলেন, ‘আমাদের ঐচ্ছিক ছুটির একটা ব্যবস্থা আছে। যারা চান ঐচ্ছিক ছুটির নির্ধারিত নিয়ম মেনে আবেদন করতে পারবেন। এটা ছুটি বিধিতেই আছে। প্রতি বছর সরকার যে ক্যালেন্ডার করে সেখানে এটা লেখা আছে।’