খাগড়াছড়ির রামগড়ে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক পলাতক রয়েছে। রামগড় পৌরসভার দক্ষিণ গর্জনতলী হামিদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পলাতক শিক্ষকের নাম হাফেজ হাবিবুল্লাহ বাহার। গত মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসার পরিচালক নিপীড়নের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসায় বৈঠকের সিন্ধান্ত নিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুল্লাহ ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার হলুদিয়া সৈনিকপাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। এক বছর ধরে তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন।
যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্র জানায়, ভর্তির পর থেকে শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লাহ বাহার প্রায় সময় তাকে দিয়ে হাত-পা টিপাতো। বেশকিছুদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি প্রায় সময় নিপীড়ন করত। গত সোমবারও নিপীড়ন করে বলে জানায় ঐ ছাত্র। বিষয়টি পরিচালকও জানায় সে। ছাত্রের মা জানান, ছেলে অসুস্থতার খবর পেয়ে মাদ্রাসায় আসলে বিষয়টি জানতে পারি। মাদ্রাসা পরিচালকের কাছে বিচার চাইলে তারা বসে সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ না করার জন্য বলে। বর্তমানে ছেলে খুবই অসুস্থ ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি ছেলেকে চিকিৎসার জন্য বাড়িতে নিয়ে গেছেন বলে জানান। মাদ্রাসার পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, নিপীড়নের বিষয়টি তিনি গতকাল কমিটিকে জানিয়েছেন। শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লাহ বাহার পালিয়ে গেছেন নইলে কিছু করা যেতো।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।











