মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ প্রসঙ্গে

| বৃহস্পতিবার , ১ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের মোড়কে ঘষামাজা ও কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় চট্টগ্রাম মহানগরের তিন ফার্মেসীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভেজাল মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও থেমে নেই ভেজাল ওষুধ তৈরীতে। আসল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় জনস্বাস্থ্য চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভেজাল ওষুধে শিশু ও মহিলাসহ বহু মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। ডাক্তারের বিধান অনুসারে ওষুধ কিনে সেবন করে রোগীরা।

কিন্তু সে ওষুধই এখন জীবন কেড়ে নিচ্ছে। ভেজাল ওষুধে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। দেদার বিক্রি হচ্ছে ওষুধের দোকানে। ভেজাল ওষুধ খেয়ে অল্প দিনের মধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে কিডনি, হার্ট ও লিভার। এক শ্রেণির অসৎ ও মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী বাজারে বিক্রি করছে এই ভেজাল ওষুধ। সারাদেশে লাখ লাখ ওষুধের দোকান রয়েছে। আইনের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাদের লাইসেন্স আছে ঠিকই। তবে অনেক কোম্পানির ওষুধের গুণগত মান নেই। অর্থাৎ নাম সর্বস্ব কোম্পানি। ওষুধের গুণগত মান না থাকলেও ওষুধে জীবন ধ্বংসকারী উপাদান থাকলে মানুষ কি করে বাঁচবে রোগ ব্যাধির হাত থেকে ? এ জন্য ওষুধ বাজারজাত করার আগে পরীক্ষা করা জরুরি।

এম এ গফুর, বলুয়ারদীঘির দক্ষিণপশ্চিম পাড়, কোরবাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমরণ ধাক্কা
পরবর্তী নিবন্ধশচীনদেব বর্মণ : অনন্য কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার