মশার কামড় ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন বিপর্যস্ত

মুহাম্মদ বাবুল হক বাবর | বুধবার , ৫ মে, ২০২১ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

অতিমারী করোনার সংক্রমণ সীমাহীন বেড়ে যাওয়ায় জনগণ মানসিকভাবে ভালো নেই। তার উপর অত্যধিক গরম, মশার কামড় ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনজীবন রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পবিত্র এই রমজানে ইবাদত বন্দেগীর দিনেও মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইফতার ও সেহেরীর সময়ও দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ভ্যাপসা গরম ও মশা মাছির অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলা বর্তমানেএতটাই বেড়েছে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাসিক বিদ্যুৎ বিলের কপিতে ‘দেশ প্রেমের শপথ নিন, দুর্নীতিকে বিদায় দিন’ স্লোগানটি লিখে রাখা হলেও বাস্তবে তারা কতটা আন্তরিক তা প্রশ্ন সাপেক্ষ! আমি যে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি তা করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বন্ধ আছে। স্কুলের লাইট ফ্যান সবকিছু বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ বিল আসা কিন্তু বন্ধ হয়নি। স্কুলের বিদ্যুৎ মিটার না দেখে কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসের শেষে দু’হাজার পাঁচশ কোন কোন মাসে তিন হাজারেরও বেশি কাল্পনিক বিল প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নিকট জানতে চাইলে বারে বারে ঐ একটি কথা পরবর্তী মাসের বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে।এ সমস্যা শুধু আমার স্কুলে নয়, অনেক গ্রাহকের সাথে কর্তৃপক্ষ একই সমস্যা বিদ্যমান রেখেছেন।এখন প্রশ্ন, মিটার না দেখে কর্তৃপক্ষ কেন কাল্পনিক বিল প্রদান করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন? আমরা এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকার্ল মার্কস : শ্রেণিহীন সমাজের স্বপ্নদ্রষ্টা এক মহাপ্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধমুনিয়া’র আত্মদহন