চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি আকারের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে অনেকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতেও দেখা গেছে তাদের মধ্যে অনেককে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টা-৪৫ মিনিটের দিকে মাঝারি এ ভূকম্পন অনূভূত হয়। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মেঘনাদ আজাদীকে বলেন, অনূভূত ভূকম্পনের রিখটার স্কেল হিসেবে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। উৎপত্তিস্তল ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত। তীব্রতার পরিমাপ অনুযায়ী এটি মাঝারি মাপের ভূমিকম্প। ঢাকার আবহাওয়া অফিস থেকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ৩৪৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। আর চট্টগ্রাম থেকে উৎসস্থলের দূরত্ব ছিল ১৭৪ কিলোমিটার।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এর তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের চিন রাজ্যের হাখা শহরের ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। যা ছিল ৬ দশমিক ১ মাত্রার। যেটি ভূপৃষ্ঠের ৩২ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পের ফলে নগরীর চকবাজারের উর্দু গলি ও বহদ্দারহাটের খাজা রোড এলাকায় দুটি ভবন সামান্য হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। পাশের আরেক ভবনের উপর হেলে পড়া উর্দু গলির এ ভবনটির নাম রহমান ভিলা। চারতলা এ ভবনের মালিক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমার ভবনটি কিছুটা হেলে পড়া অবস্থায় ছিল। এখন নাকি আরো কিছুটা হেলে পড়েছে। মানুষই আমাকে এসব বলছে। তবে আমার ধারণা, আমার ভবন শক্তই আছে। অন্যদিকে বহদ্দারহাটের খাজা রোড এলাকায় হেলে পড়া ভবনটিও চারতলা। পাশের আরেক উঁচু ভবনের উপর এটি হেলে পড়ে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস আজাদীকে বলেন, কয়েক জায়গায় ভবন হেলে পড়েছে, এমন খবর আমরাও পেয়েছি। আমাদের অথরাইজড অফিস বিষয়টি দেখছে। ঘটনাস্থলে গিয়েও দেখা হবে। সত্যি সত্যি যদি ভবন হেলে পড়ে আমরা চিহ্নিত করব। এরপর সিটি কর্পোরেশনকে তালিকা দিব। সিটি কর্পোরেশনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
