করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিন্ন আঙ্গিকে আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ। ‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানে শুরু হচ্ছে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়েই এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার নিয়ম করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠান উদ্বোধনের কথা থাকলেও করোনার কারণে এবার তা হচ্ছে না। ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের দরবার হলেও এবার তা হচ্ছে না। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দাবি–দাওয়া জানানো হবে।
পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সর্বশেষ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দরবারে উত্থাপিত অনেক দাবি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এবারও দরবার হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন, সেখানে কারো প্রশ্ন করার সুযোগ থাকছে না। তাই গত কয়েক বছরে পুলিশের বিশেষ অর্জন ছাড়াও কিছু বিশেষ দাবি–দাওয়া সরাসরি উপস্থাপনের জন্য পুলিশ সপ্তাহ পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আলাদা সময় চাওয়া হবে। সেখানে পুরনো দাবিগুলোর পাশাপাশি এবার নতুন কিছু দাবি উত্থাপন করা হবে।
সূত্র বলছে, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব একই পদমর্যাদার হওয়ায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো শুধু আইজিপির মাধ্যমেই নিশ্চিত করার দাবি ওঠানো হবে। এক্ষেত্রে ঝামেলা এড়াতে স্বতন্ত্র অধিদপ্তর করার প্রস্তাব দেওয়া হবে এবারও। থাকবে ‘বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুলিশ নিরাপত্তা ও ফৌজদারি বিচার’ নামে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি। মেডিকেল কোর গঠন ও বিদেশি মিশনগুলোতে পুুলিশের পদ সৃষ্টি করার জোর দাবি থাকবে এবারও।
করোনার কারণে ২০২১ সালে পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এ বছর ২০২০ ও ২০২১ সালের পদক একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালে ১১৫ জন এবং ২০২১ সালে ১১৫ জনসহ মোট ২৩০ জন পুলিশ সদস্যকে পদক দেওয়া হবে। আজ সকাল ১০টায় রাজারবাগে অনুষ্ঠেয় পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের হাতে এসব পদক তুলে দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।