বেলারুশকে পরমাণুবাহী ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া

| সোমবার , ২৭ জুন, ২০২২ at ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়া আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মিত্র বেলারুশকে পরমাণু বহনে সক্ষম স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্‌লাদিমির পুতিন। এই ইস্কান্দার-এম ব্যবস্থা প্রচলিত ও পরমাণুবাহী উভয় ধরনের ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে, বলেছেন তিনি। ইস্কান্দার-এমের পাল্লা ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক চরম উত্তেজনাকর পর্যায়ে পৌঁছেছে। খবর বিডিনিউজের।

গত চার মাসে তিনি একাধিকবার পারমাণবিক অস্ত্রের কথা মুখে এনেছেন, যার মাধ্যমে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে তারা যেন ইউক্রেন ইস্যুতে হস্তক্ষেপ না করে সে বিষয়ে সাবধান করে দিতে চেয়েছেন বলে ভাষ্য অনেকের। সেইন্ট পিটার্সবার্গের বৈঠকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেঙান্ডার লুকাশেঙ্কো অনুরোধ করার পর শনিবার পুতিন মিনস্কের এস-২৫কে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম করতে বিমানগুলোর আধুনিকায়নে রাশিয়া সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। একইদিন ইউক্রেন জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের তুমুল লড়াইয়ের পর পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত শহর সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক এখন পুরোপুরি রুশ বাহিনীর দখলে।

এর মানে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়া এবং তাদের সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখন লুহানস্কের প্রায় সব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে, পার্শ্ববর্তী দোনেৎস্ক প্রদেশের বেশিরভাগ অংশেরও নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক এই দুই প্রদেশ মিলিয়ে শিল্পসমৃদ্ধ দনবাস অঞ্চল, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া সেনা পাঠানোর পর এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াই তাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। শনিবার এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে যাওয়া সব শহর দখলমুক্ত করার আশ্বাস দিলেও যুদ্ধ যে এখন খুবই কঠিন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এদিকে ইউক্রেনের উত্তর ও পশ্চিমে বিভিন্ন স্থাপনা শনিবার রাতেও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে। কিয়েভের পশ্চিমের সারনি শহরে রুশ হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকের মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এক কর্মকর্তা।

তাদের স্থাপনায় উড়ে আসা কিছু ক্ষেপণাস্ত্র বেলারুশের ভূখণ্ড থেকে ছোড়া হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর বেলারুশ তাদেরকে নানা ধরনের সহায়তা দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেনা এই সংঘাতে নামেনি। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, বেলারুশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার মাধ্যমে রাশিয়া বেলারুশকেও যুদ্ধে টেনে আনতে চাইছে। রুশ বাহিনী ও তাদের মিত্রদের সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক দখল চলতি সপ্তাহে হতে যাওয়া জি৭ ও ন্যাটো সম্মেলনকেও প্রভাবিত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ২১.৬৪ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রের আদালতের আদেশে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ, উদ্বেগ