কক্সবাজারের চকরিয়ায় দখল হওয়া সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু করেছে বনবিভাগ। উদ্ধারকৃত এসব বনভূমিতে সৃজন করা হচ্ছে বৃক্ষরাজি। এতে দখল হওয়া সংরক্ষিত বনভূমি আগের পরিবেশে ফিরে আসবে বলে মনে করছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীনস্থ ডুলাহাজারা ইউনিয়নের এক হেক্টর বনভূমি নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলার মাঠ করেছিল স্থানীয় একটি চক্র। সেই এক হেক্টর বনভূমি পুনরুদ্ধার করে বনবিভাগের কর্মীরা সেখানে রোপণ করেছেন বিভিন্ন প্রজাতির দুই হাজার গাছ।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজ উদ্দিন জানান, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ সংরক্ষিত বনভূমি দখলে নিয়েছিল অসংখ্য প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা এসব বনভূমি প্লট আকারেও অনেকের কাছে বিক্রি করে হাতিয়েছে মোটা টাকা। সেই বনভূমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও জানান, শুধু ডুলাহাজারা নয়, রেঞ্জের অধীনস্থ পাঁচটি বনবিটের সংরক্ষিত বনভূমি যাদের দখলে রয়েছে এবং যেসব বনভূমিতে অবৈধ বসতি স্থাপন করা হয়েছে তা উচ্ছেদ করে বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। ইতোমধ্যে ডুলাহাজারায় এক হেক্টর বনভূমি থেকে খেলার মাঠ ও অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা বনভূমি দখলে রাখতে পারবে না কেউ। যত বড় প্রভাবশালী হউক তাদের হেফাজত থেকে পুনরুদ্ধারের পর সেখানে বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাঠপর্যায়ের রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তাদের।