বুনোফুলে সিঁদুরে মৌটুসি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

শীতের পাতাঝরা এ সময়ে পাহাড়ে নানা প্রজাতির পাখি সহজেই চোখে পড়ে। চিরহরিৎ উদ্ভিদের বুনোফুলে মধু ও খাবার খুঁজে বেড়ায় তারা। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার দুর্গম বগাপাড়া এলাকায় বৌদ্ধ বিহারের বিভিন্ন গাছের বুনোফুলে দেখা মেলে সিঁদুরে মৌটুসির। শরীরজুড়ে নজর কাড়া লাল রঙের আভা। গাল, গলা, পিঠ, উজ্জ্বল লাল। আকারে চড়ুই পাখির চেয়ে ছোট। বেশ চঞ্চল, দ্রুত এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াই। এদের ছবি তোলাও বেশ কষ্টসাধ্য। এই প্রজাতিতে রয়েছে চুনোমুখী মৌটুসি, বেগুনী কোমর মৌটুসি।

বাংলাদেশের পাখি ফিল্ডগাইডের তথ্য অনুসারে, সিঁদুরে মৌটুসি লম্বায় ১১ সে.মি.। চঞ্চু গোলাপী, পেট হলদে, ডানা জলপাই বর্ণের, নীল লেজ। স্ত্রী মৌটুসির পেট হলদে সবুজ। মাথা, পিঠ, ডানা ও লেজ জলপাইহলুদ; চঞ্চু ও বাদামি। এদের পা কালো। ছোট হলেও এরা খুবই ক্ষীপ্র। সিঁদুরে মৌটুসির ইংরেজি নাম ক্রিমসন সানবার্ডস। বৈজ্ঞানিক নাম অবঃযড়ঢ়ুমধ ংরঢ়ধৎধলধ। তাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে পোকামাকড়। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও সুন্দরবন, ঢাকা ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে এদের দেখা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এদের দেখা যায়।

প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা আইইউসিএনের তালিকায় সিঁদুরে মৌটুসি ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে ৪৫ একর পপি বাগান ধ্বংস
পরবর্তী নিবন্ধছুটির দিনে শিশুর হাসি