বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের নাট্যকর্মশালা ও প্রথম মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসব গত শনিবার বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মঞ্চস্থ হয় মঞ্চনাটক চইংজা:খ্রাং। এতে অংশ নেয় ২০ জন তরুণ শিল্পী। প্রসঙ্গত, একযুগ পর বান্দরবানে এটাই প্রথম মঞ্চনাটক।
চইংজা:খ্রাং মারমা জনগোষ্ঠীর ভাষার শব্দ। এর অর্থ হলো কাল্পনিক। প্রায় এক ঘণ্টার এই মঞ্চনাটকে বহুভাষিক অঞ্চল বান্দরবান জেলার বৈচিত্র্যময় জনজীবনের চিত্র ফুটে ওঠে।
পাহাড়ি–বাঙালি ভেদাভেদ ভুলে আমরা সবাই যে বাংলাদেশি–অভিনয়ে তর্কে এবং নাচ–গানের তালে শিল্পীরা বিষয়টি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এটা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। দীর্ঘ একযুগ পর বান্দরবানে মঞ্চনাটক আয়োজনের খবরে দর্শকদের পাশাপাশি পুরনো নাট্য শিল্পীরাও ভিড় জমায় অনুষ্ঠানস্থলে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও সাংস্কৃতিক বিভাগের কনভেনার নাছির উদ্দীন বলেন, মঞ্চ নাটক হচ্ছে শিল্পী তৈরির প্রথম স্তর। ছোট্ট নাটকে সমাজের অনেক অবক্ষয় আর সমস্যার বিষয়গুলো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন শিল্পীরা। আমরা সবাই বাংলাদেশি কথাটিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নাটকে। যা মুগ্ধ করেছে আমাকে। নাটকটির পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুবীর মহাজন। তিনি বলেন, এক ঘণ্টার কম সময়ে ২০ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে আমি চেষ্টা করেছি সমাজের ছোটখাটো কিছু সমস্যা তুলে ধরার। ভালোমন্দ বিচার করতে পারবেন দর্শকরা। ১৮ দিনের চেষ্টায় নাটকটি মঞ্চায়িত হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবানের নাট্য ব্যক্তিত্ব মিলন ভট্টাচার্য, থোয়াইচা প্রু নিলু, ডমেপ্রু ডলি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।