বাঁশখালীর গণ্ডামারায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাতিসহ ৯ মামলার আসামি মো. আলমগীর (৪৫) নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার গণ্ডামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি রাম দা, একটি ছুরি ও ১১ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। নিহত আলমগীর উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাক প্রতিবন্ধী আলী আহমদের ছেলে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, র্যাবের একটি টিম গণ্ডামারা এলাকায় টহল দিচ্ছিল। আকস্মিকভাবে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে কিছু দুর্বৃত্ত। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও গুলি ছোড়েন। গুলিবিনিময়ের পর ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবীর বলেন, গুলিবিনিময়ের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত আলমগীরের বিরুদ্ধে বাঁশখালী ও চট্টগ্রামের কয়েকটি থানায় ডাকাতিসহ ৯ মামলা রয়েছে।
তবে নিহত আলমগীরের মা আয়েশা বেগম দাবি করেন, তার ছেলের এক হাত পঙ্গু, সে নিরীহ। সে নানাভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার। তার চার ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে আলমগীর দ্বিতীয়। তার সংসারে স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সন্তানরা তাদের বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
