বহমান সময়

ফজলুল হক | সোমবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

মতভেদ ভুলে করোনা নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসুন
চট্টগ্রামের নেতাদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লেখার ইচ্ছা আমার ছিলো। দেশের পরিস্থিতি এখন উদ্বেগজনক। আমরা সবাই ভয়ভীতির মধ্যে আছি। গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি আওয়ামী লীগের ছয়শ জন নেতা-কর্মী করোনায় মারা গেছেন। বিএনপি’র চারশ পনেরো জন নেতা-কর্মী করোনায় মারা গেছেন। এই দুই দলের প্রতিটির দেড় থেকে দুই হাজার নেতা-কর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী যেমন- সাহারা খাতুন, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুল মতিন খসরু কোভিডে মারা গেছেন। কিছুদিন আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মারা গেছেন। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে আমি চিন্তিত। আমার জানামতে চট্টগ্রামের অনেক নামকরা লোক মারা গেছেন। আমি নিজেও অসুস্থ। চোখের গুরুতর অসুখের চিকিৎসা নিতে পারছি না। প্রায় অচল অবস্থায় ঘরে বসে আছি। কেউ আমার খবরও নেয়নি। সংবাদপত্রের সাথে যুক্ত একজন বিজ্ঞ লোক আমাকে বললেন আপনি অমুক শিল্পপতিকে চিনেন? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন ঐ শিল্পপতি কোভিডে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় আইসিইউতে ছিলেন। শ্বাস নিতে পারছিলেন না। শ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁসফাঁস করছিলেন। তিনি ডাক্তারদের বলেছিলেন, আমাকে একটি বার শ্বাস নিতে দাও, আমি তোমাদেরকে আমার মালিকানায় থাকা অর্ধেক সম্পদ লিখে দিবো। বিদেশের এক হাসপাতালে ৯৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ১৩ দিন আইসিইউতে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। তিনি কোভিড আক্রান্ত ছিলেন। ডাক্তারেরা তাকে সুস্থ ঘোষণা করলেন। বাড়ি যাওয়ার আগে তাঁর হাতে বাংলাদেশী মুদ্রার হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকার একটি বিল ধরিয়ে দেওয়া হলো। বিল হাতে নিয়ে বৃদ্ধ কাঁপতে শুরু করলেন। ডাক্তারেরা বললো, আপনি কি বিল বেশি দেখে কান্না করতেছেন? বৃদ্ধ বললো না-না, সেজন্য কান্না করছি না। ১৩ দিন তোমরা আমাকে শ্বাস নিতে সাহায্য করেছো। হয়তো আমি পাঁচ লক্ষ বার শ্বাস নিয়েছি। কিন্তু বিগত ৯৩ বছরে আমি হাজার হাজার কোটিবার স্বাচ্ছন্দ্যে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়েছি তার জন্য তো বিল দিতে হয়নাই? যদি দিতে হতো তাহলে কতো হাজার কোটি ডলার লাগতো?
১৯৬০ সালে আমি যখন স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি তখন আমি স্কুল লাইব্রেরি থেকে বাসায় নিয়ে পড়ার জন্য একটি বই ইস্যু করাই। বইটির নাম ‘মৃত্যুর পথে’। বইটি পড়া শুরু করলে, যতই পড়ি সন্ত্রস্ত হয়ে উঠি। এই বইতে যত চরিত্র আছে সবারই একটাই পরিণতি হচ্ছিল, অকাল মৃত্যু। তারপর থেকে আমি মৃত্যুজনিত বইয়ের প্রতি আগ্রহী হই। আমি এন দি ই (ঘবধৎ ঃযধঃ বীঢ়বৎরবহপব) বা মৃত্যুকালীন অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বইপত্র পড়ি। তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হলো আমি এই ব্যাপারে সিফশন সিনেমা এবং ভিডিও দেখেছি।আমার নিজেকে দুইবার মৃত্যুকালীন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। আমি নিজে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সার্পোটে ছিলাম। ২০১০ সালের এই অভিজ্ঞতার কথা আমি ভুলতে পারি না। মাদ্রাজের একটি হাসপাতালসহ ঢাকার একাধিক হাসপাতালে আমি কয়েকবার আইসিইউতে ছিলাম। তার মধ্যে মাদ্রাজের হাসপাতালে এবং ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে অনেক সময় ধরে আমার সেন্স ছিলোনা। তখন আমার এন দি ই কেমন হয়েছিলো তা আপনাদের কাছে বলার স্থান এখানে নাই।
যখন আমি শুনি কোন লোক আইসিইউতে আছে, যখন আমি শুনি আব্দুল মতিন খসরু, মোহাম্মদ নাসিম কিংবা চট্টগ্রামের আমাদের সময়ের চিত্রনায়িকা কবরী লাইফ সাপোর্টে আছে তখন আমি সহ্য করতে পারি না। চোখ দিয়ে দর দর করে অশ্রু ঝরে। আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ মৃত্যুর পথে মানুষের এই যাত্রা রুখে দাঁড়ান। চট্টগ্রামের মানুষের জন্য কিছু করতে এগিয়ে আসুন।
যখন কোথাও আগুন লাগে মানুষ ছুটে যায়। আগুন নেভাতে থাকে। কেউ প্রশ্ন করেনা ঐটা কার বাড়ি? ঐ বাড়ি কি হিন্দুর, মুসলমানের, বৌদ্ধের না খ্রিস্টানের। ঐ বাড়ি কি আওয়ামী লীগারের, বিএনপি সমর্থকের? কেউ প্রশ্ন করেনা যারা নেভাতে এসেছে তারা কি আওয়ামী লীগ করে? তারা কি বিএনপি করে? চট্টগ্রামে কোভিডের যে বিপর্যয়, চট্টগ্রামে মৃত্যুর যে মিছিল তা কি আগুন লাগার চাইতে কম ভয়াবহ? তাহলে আপনারা চট্টগ্রামের বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা আপনাদের নিজ নিজ পরিচয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে আগুন নেভানোর মতো মনোভাব নিয়ে কোভিড যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন না কেন? কে কাকে ডাকবে তার জন্য অপেক্ষার কোন দরকার আছে?
১৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে দেশে ১২০ জন মানুষ করোনায় মারা গেছে। এটি আতংকিত হওয়ার মতো খবর। আমরা লকডাউন দিয়ে মানুষকে ঘরে রাখতে পারছি না। অনেক মানুষ মাস্ক পরতে চায় না। যে সকল বিজ্ঞানী লকডাউন দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তারা বলেছেন এখন যে করোনাভাইরাস সক্রিয় আছে তা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে পারে। এ ভাইরাস শরীরে ঢুকার সাথে সাথে মানুষের ফুসফুস, লিভার, কিডনী ধ্বংস করে দেয়। আইসিইউ’র জন্য হাহাকার, অঙিজেনের জন্য হাহাকার, ঘরে ঘরে স্বজন হারানোর কান্না এর কোনটা সহ্য করার ক্ষমতা আমার নাই। করোনার ভয়ে আমি ভারতে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে পারছি না। করোনার ভীতি আমাকে উৎকন্ঠিত করে। আমার মাথার ভিতরে চিন্তা চলতে থাকে, আমি হয়তো এরপর আর লিখতে পারবো না। এজন্য আমি দুনিয়ার সব মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিয়েছি। এন দি ই এর প্রভাব হিসেবে আমার মনে হয়, আমার জন্য আল্লাহর কাছ থেকে একটি অলৌকিক ভেলা এসে গেছে। আমি তাতে চড়েছি। সে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে, কখনো চন্দ্রের পাশ দিয়ে, কখনো বা সূর্যের পাশ দিয়ে। আমার গরম ঠান্ডার কোন অনুভূতি নাই। আপনার চিন্তা ভাবনা করুন, সবাই একত্রিত হয়ে চট্টগ্রামের মানুষের কোভিডের মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করুন। এ কথাটুকু বলার জন্য আমি চট্টগ্রামের নেতাদের কাছে একটি চিঠি লিখতে চেয়েছিলাম।
যখন সরকার লকডাউন দেয় তখন, দোকান মালিকেরা বলেন আমরা দোকান খুলে বেচাবিক্রি করতে না পারলে আমরা তো না খেয়ে মারা যাবো। মুসল্লিরা বলেন মসজিদে গিয়ে আমরা নামাজ পড়তে পারবোনা কেনো? দিন মজুরেরা বলেন, আমরা তো দিন আনি দিন খাই। ১৫ দিনের লকডাউনে আমরা কি খাবো? গার্মেন্টস মালিকেরা বলেন, আমাদের কারখানা বন্ধ করলে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে কিভাবে? পরিবহন মালিকেরা বলেন, গার্মেন্টস খোলা রাখলে, বাজার চালু রাখলে, গাড়ি বন্ধ রাখবেন কেনো? এরকম অসংখ্য প্রশ্ন যখন উত্থাপিত হয় তখন নীতিনির্ধারকেরা বেকায়দায় পড়ে যান। আবার এইসব চালু রাখতে গিয়ে লকডাউন যখন ঢিলেঢালা হয় তখনও নীতিনির্ধারকেয়া বেকায়দায় পড়ে যান। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মহামারী বিষয়ে অভিজ্ঞ লোকেরা বলেন সরকারের উচিত দোকানপাট, শিল্প কারখানা, মানুষের চলাচল সবকিছু অন্তত পনেরো দিনের জন্য বন্ধ করে দিতে হবে। সব মানুষকে ঘরে রাখতে হবে। কেউ বেরিয়ে আসলে তাকে মাস্ক পরতে হবে। সরকারের পক্ষে বিশেষজ্ঞদের এই পরামর্শ একশভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি-না এবং সবকিছু বন্ধ করে রাখা যাবে কি-না তা আপনারা ভেবে দেখুন। অন্যদিকে ব্যবসায়ি ও সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে সবকিছু খুলে দেওয়া সঠিক হবে কিনা সেটাও ভেবে দেখুন। আপনারাই বলুন সরকারকে কি করতে হবে? চট্টগ্রামের সকল রাজনৈতিক নেতা, বন্দর-ইপিজেডের মতো বড়ো বড়ো সংস্থা, সকল শিল্পগ্রুপের মালিক একত্রিত হয়ে কোভিডকে পরাজিত করার শপথ নিলে এবং সরকার ইনাদের সকলকে কাজে লাগাতে পারলে আশার আলো দেখার সম্ভাবনা আছে।
চট্টগ্রামের সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাদের ব্যাপারে আমি আপনাদের বলবো, কোভিড আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ জেনারেশন এবং সিনিয়র সিটিজেন প্রজন্মকে কেড়ে নিচ্ছে। আমরা যদি ঠেকাতে না পারি, আমাদের মাথার উপর থেকে বয়স্কদের ছায়া সরে যাবে। কোভিডের সামনে কে বড়ো নেতা, কে শিল্পপতি, কে দিনমজুর তার কোন পার্থক্য নাই। আমাদের সিনিয়র সিটিজেন-প্রজন্ম মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলে চট্টগ্রামে সৃজনশীলতা, মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও প্রগতিশীল চিন্তার সংকট দেখা দিবে। আমাদের চট্টগ্রামে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম বিএসসি, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ডাঃ মোঃ আফছারুল আমীন, সাবেক এম.এন.এ আবু ছালেহ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, চট্টগ্রামের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ.সালাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, এম মনজুর আলম, আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বর্তমানে চট্টগ্রামের মানুষের কাছে রাজনৈতিক মুরুব্বি হিসেবে স্বীকৃত। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি উনারা সুস্থ থাকুন। সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, কর্ণেল অলি আহমদ, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী উনারাও চট্টগ্রামের অভিভাবক। উনাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা হলো দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির বাহিরে এসে চট্টগ্রামের জনগনের মৃত্যুর মিছিল রুখে দেওয়ার জন্য কাজ করা এবং করোনায় রোজগার হারানো দুঃখী মানুষের পাশে দাড়ানো। সবাই মিলে কাজ করলে করোনার আঘাত থেকে চট্টগ্রামকে রক্ষা করা সম্ভব। চট্টগ্রামের বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে আমার কয়েকজন শিক্ষক এখনো জীবিত এবং সুস্থ আছেন। উনাদের মধ্যে আছেন প্রফেসর চিত্ত প্রসাদ তালুকদার, প্রফেসর আশুতোষ নাথ, প্রফেসর শায়েস্তা খান, প্রফেসর বিনয় রতন বড়ুয়া, প্রফেসর সিকান্দার খান প্রমুখ, আমি উনাদের সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। যতদিন প্রবীণ বুদ্ধিজীবীগণ চট্টগ্রামে সুস্থ, সবলভাবে অবস্থান করবেন ততদিন চট্টগ্রাম ভালো থাকবে, বিপদে আপদে উনাদের সহযোগিতা পাবে। উনাদের অবর্তমানে চট্টগ্রাম অভিভাবকশুন্য হয়ে যাবে। চট্টগ্রামের কয়েকজন তরুণ রাজনীতিবিদ যেমন- ড. হাছান মাহমুদ এমপি, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি আমাদের মন্ত্রীসভার সদস্য। আমরা কোভিডের প্রথম ওয়েভ থেকে লক্ষ করছি যে উনারা চট্টগ্রামের জনগনের পাশে সক্রিয়ভাবে রয়েছেন। আমি উনাদের সুস্থতাও কামনা করি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ নিজ নিজ ওয়ার্ডে জনগনকে সরকারের কোভিড নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর সাথে একাত্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা বিপর্যয়ের শুরু থেকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনায় মৃত্যুর মিছিলে চট্টগ্রামের মানুষ হাসপাতালের ভেতরে বা বাহিরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ুক তা আমি চাইনা। আমি চাইনা আমাদের প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবীগণ দুনিয়া থেকে চলে যাক। ঘরে আগুন লাগলে মানুষ যেভাবে রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে আগুন নেভানোর জন্য ছুটে আসে তেমনি আপনারাও মতভেদ ভুলে করোনা নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসুন। আশা করি আমি চট্টগ্রামের মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আমার বক্তব্য তুলে ধরতে পেরেছি। শুরুতেই বলেছিলাম আমি আপনাদের কাছে একটি চিঠি লেখতে চাই, এটাই হলো সেই চিঠির বক্তব্য।
লেখক : সাবেক অধ্যক্ষ, কলামিস্ট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাম্প্রতিক চট্টগ্রাম ও দৈনন্দিন টুকিটাকি
পরবর্তী নিবন্ধপরিস্থিতি বুঝে পা ফেলবেন তিনি