শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন। সবার জন্য শিক্ষা যাতে নিশ্চিত করা যায় সেই জন্য তিনি এতো অবকাঠামো নির্মাণ করছেন। প্রতি মাসে শিক্ষকদের এমপিও প্রদান করছেন। আর তার সুফল সাধারণ জনগণ পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শুধুমাত্র পড়ালেখা করলেই বাস্তব জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব না। পড়ালেখার পাশাপাশি কারিগরি কোনো কাজ জানা থাকলে সফলতা অর্জন অনেকটা সহজ হয়।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম নগরীতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কদম মোবারক এম ওয়াই উচ্চ বিদ্যালয় ও পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬তলা ভবন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পৃথক অনুষ্ঠানে তিনি তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক–শিক্ষার্থী–অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এই সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০০ করে তিন প্রতিষ্ঠানে ৩০০ শিক্ষার্থীকে ‘মেধাবৃত্তি’ প্রদান করেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি কারিগরি কোনো কাজ জানা থাকলে জীবনে সফলতা অর্জন অনেকটা সহজ হয়। ২য় পৃষ্ঠার ১ম কলাম
যেমন স্কুলের টিফিনের সময়ে দলবদ্ধভাবে আপনারা যদি স্কুলের খালি আঙিনায় একটা বাগান গড়ে তুলেন সেই ক্ষেত্রেও কিন্তু আপনাদের একটা দক্ষতা অর্জন হবে যা পরবর্তীতে কর্মজীবনে কাজে আসবে। যে কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিকেই বেছে নেবে। তাই কর্মজীবনে সফলতা চাইলে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অতিরিক্ত চাপ দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা নষ্ট না করতে উপমন্ত্রী অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চন্দন ধর, মশিউর রহমান, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার জালাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ সরকার, কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা প্রমুখ।