প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দিনভর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রতিবাদ-মুখর ছিল চট্টগ্রাম। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নগর যুবলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নেতৃত্বে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশও।
বিকালে জেলা পরিষদ চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। সমাবেশে মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি আবারও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। যারা ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তান বানাতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে, তারা আবার পঁচাত্তরের পাকিস্তানি ঘাতকের হাতিয়ারকে জেগে উঠতে বলছে। তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করা ছাড়া আমাদের রক্ষা নেই। আজ সারা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। কিন্তু বিএনপি তাকিয়ে আছে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তির দিকে। তারা চায়নি এই দেশের মঙ্গল, কল্যাণ। তারা চায়নি পদ্মা সেতু। কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা।
এই মুহূর্তে সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ শক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার বিজয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। নেত্রী যাকে নৌকা প্রতীক দেবেন তাকে বিজয়ী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য ও ব্রত। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ট্রাজেডির মূল পরিকল্পনাকারী। তার বশংবদরা বিএনপির নামাবলী গায়ে দিয়ে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু হত্যার মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করেছে। তারা এখনো হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এই হত্যার বদলা হত্যা দিয়েই হতে পারে। তবে আমরা সেই পথে যেতে চাই না। শেখ হাসিনা যেভাবে আমাদের নির্দেশ দেবেন সেইভাবে চলব। আমরা একটি শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। কিন্তু ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া পাপবিদ্ধ কোনো দলকে আমরা এই বাংলার মাটিতে চাই না।
সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাছান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা সফর আলী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল আহাদ, জাফর আলম চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ, হারুন অর রশীদ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, নুর মোহাম্মদ নুরু ও মো. ইকবাল হাসান।
উপস্থিত ছিলেন শেখ মো. ইসহাক, এনামুল হক চৌধুরী, আব্দুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মোহাম্মদ শমশের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী জহুর আহমদ, মাহাবুবুল হক মিয়া, জুবায়েরা নার্গিস খান, জালাল উদ্দিন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের, শহীদুল আলম, জহর লাল হাজারী, নুরুল আবছার মিয়া, সৈয়দ আমিনুল হক, কামরুল হাসান বুুলু, মোহব্বত আলী খান, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, আবদুল লতিফ টিপু, ড. নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মো. ইলিয়াছ, হাজী বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী প্রমুখ।










