স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পাহাড়ে আমরা কোন ধরনের রক্তপাত ও চাঁদাবাজি হতে দেব না। কোন সমস্যা থাকলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। চাঁদাবাজি ও গুলিতে সমস্যা সমাধান হবে না। বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাসীর ও চাঁদাবাজির স্থান হবে না। বাংলাদেশে আমরা জঙ্গী ও চরম পন্থীদের দমন করেছি। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যা করার দরকার সব করবে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় রাঙামাটির সুখীনীলগঞ্জের পুলিশ লাইনসে তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সুধী সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এসব একথা বলেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের তিনটি আর্মড ব্যাটালিয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
তিনি আরও বলেন, কেন এই তিন জেলায় রক্তপাত হবে? এই ভালো মানুষগুলো নিহত হবে। আপনাদের (পাহাড়ের) প্রত্যেক জেলায় আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি, অনেক সাদাসিধে মানুষ আপনারা। কোন ডিমান্ড নেই। আপনারা অত্যন্ত শান্তি প্রিয় মানুষ। তাহলে কেন এই রক্তপাত-সেটাই জিজ্ঞাসা। আপনাদের কাছে আমরা ওয়াদা করছি, পুলিশ বাহিনী আপনাদের পাশে থাকবে। আপনারা যে যেভাবে পারেন প্রতিরোধ করনে, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আমাদের জানান।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, দীপংকর তালুকদার এমপি, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, সংরক্ষিত নারী সাংসদ বাসন্তী চাকমা, পুুলিশের আইজিপি বেনজীর আহম্মেদ, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে থাকবে, আপনারা সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করুন, প্রতিবাদ করুন, আমাদেরকে তথ্য দেন, আমরা এসব কাজ যারা করছে তাদের আইনের মুখোমুখি করব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনটি ব্যাটালিয়ন থেকে ৩ জেলায় ১০টি করে মোট ৩০টি ক্যাম্প ধীরে ধীরে বসানো হবে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা ক্যাম্পগুলো হচ্ছে রাঙামাটির আঠারো মাইল ক্যাম্প (১৮ এপিবিএন), বান্দরবানের রাবার বাগান ক্যাম্প (১৯ এপিবিএন) ও খাগড়াছড়ির পুরাতন পক্ষীমোড়া ক্যাম্প (২০ এপিবিএন)। এছাড়া রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়ছড়ির-এই তিন জেলায় ব্যাটালিয়ন হেড কোয়াটার্স এবং রাঙামাটিস্থ পার্বত্য জেলাসমূহের কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।












