পটিয়া পৌরসদরের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় জেলা পরিষদের পুকুরে খুঁটি গেড়ে টিনের ঘেরা দিয়ে দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই স্থানে বর্তমানে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য পৌরসভার রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘটনায় পটিয়া আদালত ও খাসমহল সড়ক ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ গতকাল রোববার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌর সদরের ৫ নং ওয়ার্ড ছদু তালুকদার বাড়ির কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গত ২৪ জুন রাতে কোটি টাকা মূল্যের জেলা পরিষদের পুকুর ও পৌরসভার রাস্তার কিছু অংশ দখল করে সেখানে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করতে টিনের ঘেরা ও খুঁটি দিয়ে জায়গা দখল করে নেয়। ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ খবর পেয়ে সরকারি ভূমি রক্ষার্থে পটিয়া থানা পুুলিশকে জানালে দখলকারী কামরুল ইসলামকে বৈধ অনুমতি ব্যতিত কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ না করতে নিষেধ করেন।
স্থাপনা নির্মাণে ব্যবসায়ী সমিতির রোপণকৃত কয়েকটি মূল্যবান গাছ কেটে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে। আদালত ও খাসমহল সড়ক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী জানান, সরকারি স্বার্থ রক্ষার্থে আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে দোকান নির্মাণের চেষ্টা চলছে সে জায়গা সংক্রান্তে কামরুল ইসলামের কাছে ইজারা বা বৈধ কাগজ নেই।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, সমিতির অভিযোগ পেয়ে সরকারি স্বার্থ রক্ষায় তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল জানান, পৌরসভার রাস্তার পাশে কামরুল ইসলাম অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে দখলদার কামরুল ইসলাম ইজারা নেওয়ার কথা জানালেও পুকুরের রূপ পরিবর্তন করে দোকান নির্মাণ করা যায় কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবালকে তার মুঠোফোনে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।












