দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে আর সেপথে না যাওয়ার কারণ হিসেবে ‘ন্যাড়ার বেলতলায়’ যাওয়ার প্রবাদের কথা তুলে ধরলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেছেন, ন্যাড়া বার বার বেলতলা যায় না। সুতরাং এবার বাংলাদেশের মানুষ এই ধরনের কোনো পাতানো নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে করার নির্বাচন… এ রকম নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ পা দেবে না। গতকাল ঢাকায় বিএনপি সমর্থক প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) উদ্যোগে
‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা : লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, গোটা বাংলাদেশকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। আরও পাঁচ বছর লুট করতে চায় এবং তারা ভোট চাইতে শুরু করে দিয়েছে।
আর বলছে, নির্বাচন তো… নির্বাচনে আসেন। হাত–পা বাঁধা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই, মুখ বন্ধ। ইতিমধ্যে যে খেলা শুরু করে দিয়েছে, নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, অত্যাচার–নির্যাতন করছে, উৎপীড়ন করছে, মামলা–মোকাদ্দমাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, আমরা মারামারি করতে চাই না, আমরা সংঘাতও চাই না। আমাদের দাবি মেনে নাও। নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নাও, সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে। তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে ক্ষমতাসীনদের আবার হুঁশিয়ার করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত কিছু দিন ধরে সরকারের মন্ত্রী–নেতারা বার বার করে একটা কথা বলছেন, ‘অগ্নি সন্ত্রাস হবে’, ‘আবার আগুন নিয়ে খেলবে বিএনপি’। এটা কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিত একটি বক্তব্য। তারা (ক্ষমতাসীনরা) এটা করবে। সেজন্যই তারা কথাগুলো বলতে শুরু করেছে। কিছুটা সফলও হয়ে যাচ্ছে। আমি পত্রিকায় দেখছি যে, বিভিন্ন দূতাবাস থেকে সতর্ক করা হচ্ছে তাদের নাগরিকদেরকে যে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, এখন হতে সংঘাত হতে পারে। সুতরাং তোমরা একটু সাবধানে থাকবে। সংঘাত সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ, সংঘাতের ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ, হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং তারা সন্ত্রাস করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কিছুদিন ‘একটু ভদ্রলোকের মতো’ কথা বললেও এখন ‘স্বমূর্তি’ ধারণ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল। তিনি বলেন, এখন আবার বলতে শুরু করেছেন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, প্রতিরোধ করা হবে। আমি আমার দাবির কথা বলব, রাস্তায় বলব, মিটিং–সভা করে বলব যে, আমি গণতন্ত্র চাই। আমাদের প্রতিরোধ করা হবে। প্রত্যেক দিন শান্তি সমাবেশ করছিলেন তারা। এর সমালোচনা হওয়াতে এখন বলছেন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। প্রতিরোধ গড়ে তোলার তো চেষ্টা করছেন। গত কয়েক বছর ধরে তো এই পুলিশ দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছেন। এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাতের বেলা তুলে নিয়ে গেছে নেতাদেরকে, বাড়ি বাড়ি হামলা করেছে, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে। সবশেষ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে সাংবাদিকদের মুখও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।











