লকডাউনের তৃতীয় দিনেও নগরজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসন। এসময় ৩৭ মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লকডাউন সফল করার লক্ষে এ অভিযান পরিচালনা করেন। জেলা প্রশাসন জানায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো রায়হান মেহেবুব নগরীর পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালান। তবে তিনি কাউকে কোনো জরিমানা করেননি। আজাদীকে তিনি জানান, লকডাউন মেনে চলায় তিনি কাউকে জরিমানা করেননি। তবে লোকজনকে করোনা বিষয়ে সচেতন করেন এবং মাস্ক বিতরণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি মামলায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে ৩টি মামলায় ১৮০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি মামলায় ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুর রহমান পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি মামলায় ১২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ৩টি মামলায় ১৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিংয়ে অভিযান চালিয়ে ৬টি মামলায় ২৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো আশরাফুল আলম বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি মামলায় ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮টি মামলায় ১২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস আকবরশাহ, পাহাড়তলী ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি মামলায় ১২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ টি মামলায় ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথীও নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মাস্ক বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসকের স্ট্যাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, তৃতীয় দিনের লকডাউনের সময়েও লোকজনের মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি ছিল। সামাজিক দূরত্ব না মানার প্রবণতা দেখা গেছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসা বাণিজ্য করতে দেখা গেছে। নগরজুড়ে এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১২ হাজার ৪০০ টাকা।










