চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের সমস্যা সমাধানের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ডাক দেয় চারুকলার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শিক্ষার্থীরা অবস্থান করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর প্রণব মিত্র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিন দিনের মধ্যে একাডেমিক মিটিং সম্পন্ন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে মতামত জানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তারা। শিক্ষার্থীরা এ সময় মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলেন। আর এই তিন দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী পার্থ রায় বলেন, অবস্থান কর্মসূচির পঞ্চম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়া উচিত এই ছোট্ট ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে প্রক্টর, ডিন ও শিক্ষার্থীরা একমত পোষণ করেন।
শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি হলো, শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, বেসিনের ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, আর্ট ম্যাটারিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগার সংস্কার, জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইনস্ট্রুমেন্টের ব্যবস্থা, মেয়েদের আবাসিক হলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন, ছাত্র ও ছাত্রী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ, ওজুখানা ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা, সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য লকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা করা।
এসব বিষয়ে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া আজাদীকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের দাবির মধ্যে যেগুলো স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব সেগুলো বাস্তবায়ন করা আর যেগুলো সময়সাপেক্ষ সেগুলো পরে করার আশ্বাস দিয়েছি। এখন তাদের প্রধান দাবি মূল ক্যাম্পাসে ফিরে আসা। সেটা তো তারা বললে হবে না। এটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার।