পৃথিবীর ইতিহাসে এমন এক ব্যক্তিত্ব, যার সমগ্র জীবনে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল পবিত্র কুরআন, তিনি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.)। অন্ধকারে নিমজ্জিত সভ্যতায় তিনি সত্য, ন্যায় ও করুণার এক অনন্য দিশারীরূপে আবির্ভুত হয়েছিলেন। আল্লাহ কোরআনে বলছেন, ‘তোমাদের জন্য রাসূল (স.) এর জীবনে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ।’ এই আয়াতই বলে দেয়, বিশ্বনবীর জীবন শুধু ইতিহাস নয়, মানবতার জন্য চিরকালীন পথনির্দেশ।
একদা সাহাবায়ে কেরাম হযরত মা আয়েশা (র.) কে জিজ্ঞেস করেন, ‘কেমন ছিল বিশ্বনবীর জীবন’? তখন তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছিলেন ‘তোমরা কি কোরআন পড় নি? তিনি ছিলেন জীবন্ত কোরআন’। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বনবীর সমগ্র জীবনই ছিল কোরআনের বাস্তব প্রতিফলন। সুখে শোকরিয়া, বিপদে ধৈর্য, ন্যায়বিচারে আপসহীনতা, নম্রতায় অনন্যতা সবই ছিল তাঁর জীবন চরিত্রে। যে সময়ে বিশ্বজাহান অমানবিকতায় ডুবে ছিল, তখন তিনি ঘোষণা করলেন ‘এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসেই মুক্তি’। আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট বলেছেন, ‘বল, যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে রাসুলকে অনুসরণ কর। তবেই আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন।’ অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির একমাত্র পথ হলো রাসূলের জীবনাদর্শ অনুসরণ।
আজকের সংকটময় বিশ্বে মানবতা যেখানে গভীর অন্ধকারে ডুবেছে, সেখানে বিশ্বনবীর জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়াই মুক্তির একমাত্র উপায়। কারণ তিনি কেবল রাসূল ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের মানবতার মুক্তির চিরন্তন আলো, সৃষ্টির শুরু থেকে কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ আসবে তাদের সকলের নেতা, সকলের জন্য মুক্তির দিশারি।












