নিজের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, পবিত্র আল কোরআনের প্রথম যে আয়াত নাজিল হয় সেটা ছিল, ‘পড় তোমার প্রভুর নামে। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’। অর্থাৎ পড়তে হবে। শাহাদাত বলেন, সমাজের অবক্ষয় হয়েছে নৈতিক শিক্ষার অভাবে। আমরা বই পড়ে জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করব। এতে করে আমাদের নৈতিক উন্নয়ন হবে এবং সমাজ তথা রাষ্ট্রের উন্নয়ন ঘটবে। তিনি গতকাল শুক্রবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র চট্টগ্রাম মহানগরের স্কুল পর্যায়ের বইপড়া কর্মসূচির পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এ পুরস্কার বিতরণ উৎসবে ১০৬টি স্কুলের ৬ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ট্রাস্টি ডা. আবদুন নূর তুষার, গ্রামীণফোন লিমিটেডের রিজিওনাল হেড মোরশেদ আহমেদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র চট্টগ্রাম শাখার সংগঠক অধ্যাপক আলেক্স আলিম। সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের সদস্য শামীম আল মামুন। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এই পুরস্কার বিতরণ উৎসব শুরু হয়। গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিওনাল হেড মোরশেদ আহমেদ বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের মধ্যে যেন মানবিক ও মানসিক উৎকর্ষতার বিকাশ ঘটে, এজন্য গত দুই দশক ধরে এই মহতী উদ্যোগের পাশে আছে গ্রামীণফোন। বই পড়া কর্মসূচিতে আজকের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে আরো বলেন, তরুণদের জ্ঞানের বিকাশ এবং মানসিক উৎকর্ষতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই আলোকিত মানুষ গড়ার অংশ হিসেবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যে বই পড়া কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরাও গর্বিত। শামীম আল মামুন বলেন, যারা বই পড়ে তারা বড় মানুষ হয়। তারা দয়াবান ও বিবেকবান হয়। তোমরা যারা পুরস্কার পাচ্ছো তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বই পড়ব এই প্রত্যাশা রইল সবার প্রতি।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৯০টি স্কুলের ৫ হাজার ৩৮০ জন সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্কুলের শিক্ষক বা সংগঠক পুরস্কার গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫০ জন ছাত্রী ও ১ হাজার ৩৩০ জন ছাত্র। মোট স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ৩০৯১ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১৯২৪ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৮৮২ জন এবং সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ১৩১ জন। দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন ও পুরস্কারের বই স্পন্সর করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড।











