নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৮ দশমিক ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পৃথক সাতটি খালের কাজ শেষ হয়েছে। খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) বুঝিয়ে দিতে চায় সিডিএ। মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১শ কোটি টাকা পেলে সিডিএ ইতোমধ্যে যেসব খালের কাজ শেষ করেছে তা বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, মেইনটেনেন্সের জন্য আমাদের নিতে হবে, সেটা দ্বিমত করছি না। কিন্তু এখন যদি আমাদের ঘাড়ে তুলে দেন তাহলে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। যদি প্রকল্প থেকে আমাদের ১শ কোটি টাকা দেন তাহলে যেসব খালের কাজ আপনারা শেষ করেছেন সেগুলো আমরা অবশ্য নেব। এগুলো সিডিএ তো মেইনটেনেন্স করবে না, সিটি কর্পোরেশন করবে। যদি আপনারা না দেন তাহলে এটার সুরাহা করার জন্য মন্ত্রণালয়ে যোগোযোগ করবো। কাল ১শ কোটি টাকা দিলে আগামী সপ্তাহ থেকে মেইনটেনেন্স শুরু করে দেব।
তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের ডিপিপিতে প্রস্তাব ছিল এবং আগে বিভিন্ন সেবা সংস্থার যে সমন্বয় সভা হয়েছিল সেখানে আপনারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিটি কর্পোরেশনকে ১শ কোটি টাকা মেইনটেনেন্স (রক্ষণাবেক্ষণ) খরচ বাবদ দিবেন। প্রথমে ৪০ কোটি টাকা, এরপর ৩৫ কোটি এবং শেষে ২৫ কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাবনা ছিল। যা পরে দেয়া হয়নি। মেয়র বলেন, খাল-নালাগুলোর পরিষ্কার কাজ চলমান রাখতে হবে। না থাকলে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। চলমান রাখার জন্য অর্থের প্রেেয়াজন। সিটি কর্পোরেশনে সে অর্থ নেই। জনবলও নেই। আমাদের প্রকল্প দিয়েছে রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য। খাল-নালার জন্য আমাদের কোনো প্রকল্প নেই।