ক্যান্সারের চিকিৎসায় ৭ মিনিটের ইনজেকশন

| শুক্রবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসএনএইচএস বিশ্বে প্রথমবারের মত ক্যান্সারের চিকিৎসায় রোগীদের সাত মিনিটের একটি ইনজেকশন দিতে চলেছে। বর্তমানে রোগীর শরীরে ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইমিউনোথেরাপি ‘অ্যাটেজোলিজুমাব’ প্রবেশ করাতে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট সময় লাগে। যার অর্থ, নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রায় তিনচতুর্থাংশ সময় কম লাগবে। মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) অনুমোদন পাওয়ার পর মঙ্গলবার এনএইচএস ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, যাদের এরইমধ্যে অ্যাটেজোলিজুমাব ইমিউনোথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা চলছে এমন কয়েকশ যোগ্য রোগীকে নতুন এই ইনজেকশন দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। নতুন ইনজেকশনটি চামড়ার নিচে দেওয়া হবে। এতে ক্যান্সারের চিকিৎসায় আরো সময় বাঁচাবে। খবর বিডিনিউজের।

ওয়েস্ট সাফক এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. আলেঙান্ডার মার্টিন বলেন, এই অনুমোদন আমাদের শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সুবিধাজনক এবং দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সুযোগই দেবে না, বরং আমাদের চিকিৎসাকর্মীদের দিনভর আরো রোগীকে সেবা দিতেও সক্ষম করে তুলবে। এনএইচএস ইংল্যান্ড বলেছে, অ্যাটেজোলিজুমাব, যেটি টেসেন্ট্রিক নামেও পরিচিত ইনজেকশনটি সাধারণত রোগীদের শিরায় দেওয়া হয়। স্যালাইনের মাধ্যমে এটি সরাসরি শিয়ায় প্রবেশ করানো হয়। এজন্য প্রায় ৩০ মিনিট থেকে সেসব রোগীদের শিরা খুঁজে পাওয়া কঠিন তাদের বেলায় এক ঘণ্টার বেশি পর্যন্ত সময় লেগে যায়।

রস প্রোডাক্টস লিমিটেডের মেডিকেল ডিরেক্টর মারিয়াস শলৎজ বলেন, এতে মোটামুটি সাত মিনিট সময় লাগে। যেখান বর্তমান উপায়ে শিরার মাধ্যমে ওষুধ শরীরে প্রবেশ করাতে প্রায় ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত সময় লেগে যায়। রস প্রোডাক্টস লিমিটেড এর ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেননটেক এর তৈরি অ্যাটেজোলিজুমাব একটি ইমিউনোথেরাপি। যে ওষুধটি রোগীর শরীরের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। বর্তমানে ফুসফুস, স্তন, লিভার এবং মূত্রাশয়সহ বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত এনএইচএস রোগীদের ট্রান্সফিউশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এনএইচএস ইংল্যান্ড থেকে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, প্রতি বছর ইংল্যান্ডে প্রায় তিন হাজার ৬০০ ক্যান্সার আক্রান্তকে অ্যাটেজোলিজুমাব দিয়ে চিকিৎসা শুরু করে পরে তাকে স্থানান্তর করে সময় বাঁচানো ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া যাবে। তবে যেসব রোগী অ্যাটেজোলিজুমাব এর সঙ্গে কেমোথেরাপিও গ্রহণ করেন তাদের শিরার মাধ্যমেই ওষুধ শরীরে প্রবেশ করানোর চিকিৎসা নিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না
পরবর্তী নিবন্ধগোমদণ্ডী পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষাবোর্ডের চিঠি