কুমিরায় বিকল্প লোহার ব্রিজ

ভাটায় কমবে দুর্ভোগ, জোয়ারে থাকছে ঝুঁকি

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৪ জুন, ২০২২ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌ রুটের কুমিরা ঘাটে অবশেষে নির্মিত হয়েছে একটি বিকল্প লোহার ব্রিজ। এখন থেকে এই ব্রিজ দিয়ে যাত্রী উঠানামা করতে পারবে। এতে করে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমবে বলে আশা করছেন যাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন লোহার ব্রিজটির মূল অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন রেলিং নির্মাণ ও ব্রিজের মাথায় ডেনিস বোট যুক্ত হলেই কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে। তবে নতুন এই ব্রিজ দিয়ে এখনই যাত্রী উঠানামা করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটির নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আশরাফুজ্জামান।

এই নৌ রুটের কুমিরা ঘাটে ব্রিজের সম্মুখ অংশের সিঁড়ি ভেঙে যায় প্রায় দেড় মাস আগে। এরপর থেকে যাত্রীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। প্রতিদিনই ভাটার সময় হাটু থেকে কোমড় পানিতে নেমে শিশু, বৃদ্ধ, মহিলাসহ যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। এছাড়া ব্রিজের সম্মুখ অংশের প্রায় ৩০ মিটার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জোয়ারের সময় সম্মুখ অংশের ১২ মিটার অস্বাভাবিকভাবে নড়ছে। যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়ার আশংকাও রয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজের সাথে নতুন নির্মাণ করা লোহার ব্রিজ ব্যবহার করে যাত্রীরা কতটুকু উপকৃত হবেন তা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন কুমিরা ঘাটের পরিচালক শামছুল আলম দলু। তিনি বলেন, যেহেতু আগের বিজ্রের সম্মুখ অংশ জোয়ারের সময় অস্বাভাবিকভাবে নড়ছে, সেহেতু জোয়ারের শুরু ও মাঝামাঝিতে এখানে লালবোট ও স্পিডবোট ভিড়ানো সম্ভব হবে না। পুরাতন জেটি থেকে লোহার ব্রিজের মাঝখানে গ্যাপ কম থাকায় জোয়ারের সময় বোট ভিড়ানো ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পরামর্শ ছিল মূল ব্রিজ থেকে ২০০ ফুট দক্ষিণে লোহার ব্রিজটিকে নিয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে মূল ব্রিজ থেকে লোহার ব্রিজের মাঝের গ্যাপও বড় হতো। তবে ভাটার সময় এ ব্রিজ ব্যবহার করে যাত্রীরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিআইডব্লিউটির নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আশরাফুজ্জামান আজাদীকে বলেন, বিকল্প লোহার ব্রিজটি এখনও ব্যবহার করা যাবে। তবে লাইফবোট (লালবোট) ও স্পিডবোট থেকে যাত্রীদের সহজে উঠানামার জন্য লোহার ব্রিজের সাথে আলাদা পাইপের মাধ্যমে আমরা একটি ডেনিস বোট যুক্ত করে দেবো। তবে জোয়ারের সময় এটি ব্যবহারে ঝুঁকির কথা জানালে তিনি বলেন, জোয়ারের সময় খালের ভিতর জেলা পরিষদের জেটি দিয়েই উঠানামা করা হয়। এটি মূলত ভাটার সময় ব্যবহারের জন্য।

বিআইডব্লিউটির এ নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ৩০ মিটারের ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাপ বাদ দিয়ে লোহার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিকল্প এ লোহার ব্রিজকে সাময়িক ব্যবস্থা হিসাবে দেখা হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এটি করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে সেখানে নতুন করে আরসিসি জেটি নির্মাণ করতে হবে। তিনি জানান, প্রায় ১০০ ফুটের এ লোহার ব্রিজটি নির্মাণ করতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅতি বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া এলাকায় পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ ওয়াসার
পরবর্তী নিবন্ধরেডিসনে ঈদ শপিং ফেস্টের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন