আগামী সেপ্টেম্বরে দোহাজারী–কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর পরিকল্পনা নিয়ে পুরনো কালুরঘাট সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সেতু মেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ম্যাঙ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড কাজের জন্য মনোনীত হয় এবং ৪৩ কোটি টাকায় এই প্রতিষ্ঠানের সাথে রেলওয়ের গত রবিবার চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আগামী তিনমাসের মধ্যে সেতুটি মেরামত করা হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুতে বিদ্যমান রেল লাইনের সংস্কারকাজ শেষ করে কঙবাজার রুটে ট্রেন চালানো হবে। সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন। এজন্য তিন মাসের (সেপ্টেম্বরে) মধ্যে সেতুর উপর বিদ্যমান রেল লাইনের সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যাঙ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড কালুরঘাট সেতুটি সংস্কার করার পর এই সেতু দিয়ে দক্ষিণ কেরিয়া থেকে আমদানিকৃত আধুনিক উচ্চগতির কোচসহ ১৫ এঙেল লোডের ইঞ্জিনের ট্রেন কঙবাজার যেতে পারবে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা আজাদীকে বলেন, কালুরঘাট সংস্কারের জন্য ম্যাঙ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সাথে চুক্তি হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে। আমাদের টার্গেট ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করা। সংস্কার কাজে ব্যয় হবে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেতুর মূল কাজ শেষ করে কঙবাজার রুটে ট্রেন চালানো। সেই লক্ষে কাজ এগিয়ে নেয়া হবে।
গত ৬ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন ও ফেরি চালুর বিষয়ে মতবিনিময় সভায় আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী কঙবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন জুন মাসের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে এবং ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুকে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।
পুরনো কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শেষ করতে ছয় মাস লাগবে।
তবে সেতুতে বিদ্যমান রেল লাইনের সংস্কার কাজ তিন মাসের (সেপ্টেম্বরে) মধ্যে শেষ করা হবে। আপাতত সেতুর রেললাইন সংস্কার করে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে কঙবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই তিন মাস ট্রেন (চট্টগ্রাম–দোহাজারী রুট) চলাচল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সকল ধরনের যান চলাচলও বন্ধ থাকবে। মানুষের চলাচলের জন্য ওয়াকওয়েসহ পুরো কাজ শেষ করতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। সেতুতে যান চলাচল বন্ধ থাকলে মানুষের সাময়িক অসুবিধা হবে। পুরনো সেতুটি সংস্কারের সময় ভারী যানবাহন গুলোকে শাহ আমানত সেতু দিকে পাঠানো গেলে আর সমস্যা হবে না। ছোট ছোট যানবাহন গুলো ফেরি দিয়ে চলাচল করবে।