এবার ঈদে কর্মীদের জন্য নেতাদের আয়োজন কম

জাতীয় নির্বাচনসহ উপজেলা ও ইউপি নির্বাচন শেষ, তাই এই অবস্থা

শুকলাল দাশ | রবিবার , ১৬ জুন, ২০২৪ at ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচনের তোড়জোড় নেই। নেই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাও। তাই এবারের ঈদুল আজহায় কর্মীদের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের আয়োজনে গতবারের মতো জৌলুস থাকছে না। এবার মেজবানির আয়োজনও কম। সম্প্রতি শেষ হয়েছে চট্টগ্রামের ১৩ উপজেলার নির্বাচন। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তারও আগে অনুষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে ঈদে গ্রাম ও নগর উৎসবমুখর থাকে। নেতাকর্মীদের কদর থাকে। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে গ্রাম ও শহর সরগরম থাকে। জাতীয় ও স্থানীয় সবগুলো নির্বাচন হয়ে গেছে, তাই এবার কোরবানির ঈদে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য গ্রামে ও শহরে কোনো আয়োজন নেই দলের মন্ত্রী, এমপি এবং শীর্ষ নেতাদের।
খবর নিয়ে জানা গেছে, এবার কোনো উপজেলায় নেতাদের পক্ষ থেকে কোরবানির ঈদে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য আগের মতো বড় পরিসরে মেজবানের আয়োজন নেই। আগে পটিয়ায় একটানা দুদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের মেজবানের আয়োজন থাকত। একইভাবে রাউজান, মীরসরাই, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলায়ও মেজবানের আয়োজনের পাশাপাশি কোরবানির মাংস বিতরণের ব্যবস্থা থাকত। একইভাবে নগরীতেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ নেতারা মেজবানের আয়োজন করতেন। কিন্তু এবার গত বছরের মতো আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মেজবান আয়োজনের কোনো প্রস্তুতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে নগরীতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রাউজানের সংসদ সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ চান্দগাঁও-বোয়াখালী আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম, বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সংসদ সদস্য আবদুল মোতালেব, পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দলের নেতাকর্মীদের জন্য অন্যান্যবারের মতো মেজবানের পাশাপাশি মাংস-পরোটাসহ নানা মুখরোচক খাবারের আয়োজন করেছেন বলে জানা গেছে।
আগামীকাল সোমবার ঈদুল আজহা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা কোরবানির গরু কিনেছেন বলে দলের নেতাকর্মী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে। তবে গতবারের কোরবানির ঈদে নেতারা যে পরিমাণ গরু এবং খাসি কিনেছিলেন, এবার সেই পরিমাণে কিনেননি। তাই এবার কোরবানির ঈদে অনেক রাজনৈতিক নেতার আয়োজনে গতবারের মতো মেজাবানির জৌলুস থাকছে না। থাকলেও তা সীমিত পরিসরে করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, আনসারসহ আটক ৩
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপির তিন কমিটিতে চট্টগ্রামের ৪ জন