পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে খুলেছে অফিস-আদালত। তবে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় কর্মদিবসেও কর্মচাঞ্চল্য দেখা যায়নি। বরং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ছিল ঈদের আমেজ। উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলক কম। ঈদ উপলক্ষে এবং সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা চার দিন ছিল ছুটি। তবে অনেকে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিন ছুটি নিয়েছেন। তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক পরিবারের সদস্যরা এখনো ফিরে আসেনি শহরে। ফলে এখনো স্বরূপে ফিরেনি নগর।
এদিকে গতকালও চিরচেনা যানজট দেখা যায়নি সড়কে। প্রায় ফাঁকা ছিল সড়ক। গণপরিবহনেও ছিল না যাত্রীদের ভিড়। রিকশা ও সিএনজি টেঙি চালকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, লোকজন কম থাকায় আয়ও কমে গেছে।
এদিকে শপিং মল থেকে শুরু করে অলিগলিতে সারা বছর সকাল-সন্ধ্যা যে আড্ডা থাকত সেটাও লক্ষ্য করা যায়নি। বিভিন্ন ব্যাংকে দেখা গেছে অলস সময় পার করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গ্রাহক সংখ্যা ছিল কম। ছিল না নগদ টাকা তোলার চাপ। সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, রেলওয়ে, বিভিন্ন বীমা অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকরি অফিসেও ছিল ঈদের আমেজ।
এদিকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জেও ছিল ঈদের আমেজ। অনেকটা সুনসান ছিল ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ এ পাইকারি বাজার। স্বাভাবিক সময়ে শ্রমিকের হাঁকডাকে কর্মচাঞ্চল্য এবং ট্রাক-লরির দীর্ঘ সারি দেখা যেত। গত দুদিন প্রায় ক্রেতাশূন্য এ বাজারে তেমন দৃশ্য ছিল না। আড়তদারও বলছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক এখনো কাজে যোগ দেয়নি। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া দোকানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেশিরভাগই ফিরে আসেনি।












