উগ্রবাদের বিস্তার রোধে শিক্ষার্থীদের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে

বিজিসি ট্রাস্ট ভার্সিটিতে কর্মশালায় বক্তব্য

| বৃহস্পতিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৩ at ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের উদ্যোগে অনলাইন ভিত্তিক উগ্রবাদের বিস্তার প্রতিরোধে ছাত্র-ছাত্রীদের করনীয় শীর্ষক প্যানেল আলোচনা আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিসি উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এফ.এম. আওরঙ্গজেব। অনুষ্ঠানে প্যানেল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর এ.বি.এম আবু নোমান, আনোয়ারা সার্কেল, চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন দি এশিয়া ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার মো. নাসির উদ্দিন, কর্মকর্তা শবনম কোরায়েশী ও ওয়াহেদ তালুকদার প্রমুখ।  প্রধান অতিথি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির কারনে বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক পোর্টাল, চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারনে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে  জানতে পারছি। কিন্তু প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার সুযোগে কিছু নেতিবাচক এবং সংবেদনশীল মিথ্যাচার ছড়িয়ে পড়ছে যার কারনে বৃদ্ধি পাচ্ছে সন্ত্রাস, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ। আমরা অনলাইন ভিত্তিক এই ধরনের প্রচারণা গুলোর সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অনেকেই এটিকে শেয়ার করে জনসম্মুখে ছড়িয়ে দিচ্ছি, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন ভিত্তিক কর্মকান্ডে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে তাই সর্বপ্রথম এই বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন হতে হবে এবং এই ধরনের উগ্রবাদ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ যাতে বিস্তার করতে না পারে তার জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ অতিথি প্রফেসর এ.বি.এম আবু নোমান বলেন, অনলাইন ভিত্তিক গুজবের মাধ্যমে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে কোন অপকর্মের জন্য ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্রের যদি ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে সে ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং প্রচলিত আইনে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়। অনেকেই আইনগত শাস্তির যে বিধান রেখেছে সে বিষয়ে অবগত নয়, এবং অনেকেরই এই গুজব এবং মিথ্যাচারের কুফল ও সমাজের প্রভাব সম্পর্কে ধারনা নেই। তাই আইনের ছাত্রসহ সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সমাজের মানুষদের এই বিষয়ে অবগত করার জন্য নিজেদের প্রথমে সচেতন হতে হবে। সেই সচেতনতা বৃদ্ধির মাাধ্যমে সমাজ এবং রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে হবে। বিশেষ অতিথি সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার এবং আইন শৃংখলা বাহিনী জিরো টলারেন্সরনীতি গ্রহন করেছে, কিন্তু সকলের সহযোগিতা ছাড়া সরকারের একার পক্ষে এই অপকর্মে জড়িত তাদের চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। তাই উগ্রবাদ বা সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্মের প্রতি ক্ষতিকারক অনলাইন ভিত্তিক প্রচারনা বন্ধ করতে হলে প্রথমেই দরকার নাগরিক সচেতনতা। নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ভূমিকা রাখতে পারে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে ৬টি বাসকে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধরাঙামাটি রিজিয়নের সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদান প্রদান