প্রথমবারের মতো মহাকাশে পৌঁছেছে ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন অরবিট। মধ্য আকাশ থেকে প্লেনের মাধ্যমে রকেট উৎক্ষেপণ করে সফলভাবে নাসার ১০টি স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর একবার আটকে গিয়েছিল এই রকেটের উৎক্ষেপণ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচের প্রতিষ্ঠানটির লঞ্চারওয়ান রকেটটি কসমিক গার্ল নামে পরিচিত পরিবর্তিত বোয়িং ৭৪৭ প্লেনের তল থেকে আকাশে ছেড়েছে ভার্জিন অরবিট।
প্রশান্ত মহাসাগরের প্রায় ৩৫ হাজার ফুট ওপর থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩৯ মিনিটে রকেটটি ছেড়ে দেওয়ার পর এটির নিউটন থ্রি ইঞ্জিন রকেটটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে নিয়ে গেছে। এতে প্রথমবারের মতো মহাকাশে পৌঁছেছে ভার্জিন অরবিটের মহাকাশযান। লঞ্চ ডেমো ২ নামে পরিচিত এই পরীক্ষামূলক অভিযানে সময় টুইটারে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, টেলিমেট্রির তথ্যমতে, লঞ্চারওয়ান কক্ষপথে পৌঁছেছে! আক্ষরিক এবং কাল্পনিক উভয় দিক থেকেই এটি আমাদের প্রথম লঞ্চ ডেমো থেকে অনেক অনেক মাইল দূরে পৌঁছেছে। খবর বিডিনিউজের।
টুইটারে প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার মোহাভি এয়ার অ্যান্ড স্পেস পোর্ট থেকে কসমিক গার্ল উড্ডয়নের প্রায় দুই ঘন্টা পর কক্ষপথে সফলভাবে নাসার ১০টি ছোট স্যাটেলাইট ছাড়া হয়েছে। এই স্যাটেলাইটগুলো পরিকল্পনা মতো মহাকাশে ছাড়া গেছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলেনি ভার্জিন অরবিট। সফল পরীক্ষা এবং পরিষ্কারভাবে কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠানো ভার্জিন অরবিটের জন্য দুইবার জেতা। গত বছর এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটির। লঞ্চারওয়ানের মূল ইঞ্জিনটি নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ভার্জিনের নির্বাহী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমির অনেক ওপর থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে স্যাটেলাইটগুলোকে আরও স্থায়ীভাবে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পাঠানো যায়। আর প্রথাগত রকেটের মতো আবহাওয়ার কারণে এর উৎক্ষেপণ বাতিল হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।