বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চট্টগ্রাম টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। যেখানে সহজ জয়ই দেখতে পাচ্ছে সফরকারীরা। স্বাগতিকদের হারাতে পাকিস্তানের দরকার আর ৯৩ রান। তাদের হাতে রয়েছে পুরো দশ উইকেট। আজ মঙ্গলবার ম্যাচের শেষ দিনে জিততে হলে বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো শুরু করলেও শেষদিকে এসে পরাজয়ের কাছে গিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে টাইগাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০৯ রান করে দিন শেষ করে পাকিস্তান। আর মাত্র ৯৩ রান নিলেই জয়ের দেখা পাবে তারা। তবে গতকাল চতুর্থ দিনের শেষ দিকে পাকিস্তান যেভাবে ব্যাট করছিল তাতে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের দেওয়া জয়ের লক্ষ্য টপকে যাবেন দুই ওপেনার। তবে আলো স্বল্পতার কারণে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের খেলার ১৮ ওভার বাকি থাকতেই খেলা শেষ করা হয়।
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিক। যদিও বাংলাদেশের হাতে কয়েকবার সুযোগ এসেছিল উইকেট নেওয়ার। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। দুর্দান্ত ব্যাট করে দুই ওপেনারই তুলে নেন অর্ধশতক। ৯২ বলে আবিদ আলি ও ৮৮ বলে অর্ধশতের দেখা পান আবদুল্লাহ শফিক। প্রথম ইনিংসে শতক জুটি গড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক জুটিতে রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানি দুই ওপেনার। ১৯৮ বলে ১০৯ রানের জুটি গড়ে চতুর্থ দিন শেষ করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার। ৬ চারে ১০৫ বলে ৫৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন আবিদ আলী। অপরপ্রান্তে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৯৩ বলে ৫৩ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন শফিক। আজ ৫ম দিনে ব্যাট করতে নামবেন পাকিস্তানের এই দুই ওপেনার। গতকাল ১৬ ওভারে ৩৭ রানে উইকেট শুন্য থাকেন বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ১০ ওভারে ৩৬ রান দেন মেহেদী হাসান। ৫ ওভারে ২৩ রান দেন পেসার এবাদত হোসেন। আবু জায়েদ ২ ওভারে ১৩ রান দেন।
এর আগে চতুর্থ দিন মাঠে নেমেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান সংগ্রহ করেছিল টাইগাররা। তখন ক্রিজে ছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং ইয়াসির আলী। খেলতে নেমে পাকিস্তান পেসার হাসান আলীর বলে বোল্ড হন মুশফিক। ৩৩ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর শাহিন শাহ আফ্রিদির বাউন্সার ব্যাট হাতে থিতু হয়ে থাকা ইয়াসির আলীর হেলমেটে আঘাত করে। পরে মাঠে ফিজিও আসার পর তার সঙ্গে কথা বলে খেলা চালিয়ে গেলেও, পানি পানের বিরতির সময় ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার। ৭২ বলে ৬টি চারে ৩৬ রান করেন তিনি। ইয়াসির উঠে যাওয়ায় পর উইকেটে আসনে মেহেদী হাসান মিরাজ। সাজিদ খানের বলে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৪৪ বলে ১১ রান করেন মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে লাঞ্চ বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে তিনি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তবে এরপরই ইয়াসির আলীর কনকাশন বদলি হিসেবে নামা নুরুল হাসান সোহান বিদায় নেন। ৩৩ বলে ১৫ রান করেন এই ডানহাতি। সোহানের পর বিদায় নেন লিটনও। আফ্রিদির বলে এলবি হয়ে ৮৯ বলে ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। এরপর তাইজুল ইসলাম ও আবু জায়েদের দ্রুত বিদায়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ১৫৭ রানে থামে। ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ৫ উইকেট পান পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি। এছাড়া সাজিদ খান ৩টি ও হাসান আলী ২টি উইকেট লাভ করেন।











