অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর আদালতের পরোয়ানা মূলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত কয়েকদিন কারাগারে থেকে জামিনে বের হয়ে উক্ত অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর বের হয়ে আসে অভিযোগটি সাজানো। জাল–জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক সাজিয়ে ৮৫ লাখ টাকা আত্মসাতের কাল্পনিক গল্প তৈরি করা হয়। মূলত হয়রানি করতেই রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত অভিযুক্তকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। ভুক্তভোগী হলেন, নগরীর ইসহাকের পুল এলাকার বাসিন্দা নাছিম আহমদ খোকন। তার আইনজীবী রাজীব মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আজাদীকে বলেন, ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট রফিকুল ইসলাম খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নাছিম আহমদ খোকনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তখন আদালত মামলাটি গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় একই বছরের ২২ নভেম্বর নগরীর ইসহাকের পুল এলাকা থেকে নাছিম আহমদ খোকনকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। কয়েকদিন কারাগারে ছিলেন তিনি। চট্টগ্রামের আদালতে জামিন চেয়ে না পেয়ে খাগড়াছড়ি আদালতে আবেদন করা হয়। একপর্যায়ে তিনি জামিনে মুক্তি পান। আইনজীবী বলেন, জামিনের পর নাছিম আহমদ খোকন অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করেন। খাগড়াছড়ি থানা পুলিশ মামলার অসারতা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ড্রীম ল্যান্ড কর্পোরেশন নামে নাছিম আহমদ খোকনের কোন প্রতিষ্ঠান নেই। এমন কোন প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। মামলার বাদীর ঠিকানাও ভূয়া। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম পুলিশকে জানায়, তিনি আর মামলা চালাতে চান না। একপর্যায়ে চলতি বছরের ৩১ জুলাই মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে নাছিম আহমদ খোকনকে ভূয়া ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহিত প্রদান করা হয়। এরমধ্যে দীর্ঘ ১১ মাস হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন নাছিম আহমদ খোকন। আইনজীবী রাজীব মল্লিক বলেন, কোন একটি চক্র নাছিম আহমদ খোকনকে হয়রানি করতে মামলাটি করেছিলেন। আদালত বারবার তলব করেও বাদী রফিকুল আদালতে হাজির হননি। ভুক্তভোগী নাছিম আহমদ খোকন মামলার বাদী এমনকি মামলার অন্যান্য আসামিদের চিনেনও না।