সন্দ্বীপে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন, মো. আকবর হোসেন, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. নুরুল আবছার, আবুল বশর ও মো. সুমন। এরমধ্যে বশর ও সুমন পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বাকীরা রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এই রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি জিকো বড়ুয়া আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আদালতসূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ ভোক্তভোগী ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজহারে বলা হয়, ১৩ সেপ্টেম্বর স্কুলে গিয়ে ফিরে না আসায় ভোক্তভোগী ছাত্রীর খোঁজ করা হয়। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন এলাকার একটি ডোবায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। আদালতসূত্র আরো জানায়, ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। পরের বছরের ২১ আগস্ট তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।