বঙ্গোপসাগরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে বাঁশখালীর চাম্বল এলাকার ৩টি ফিশিং বোট ডাকাতির শিকার হয়েছে। ডাকাতেরা ৩টি বোট থেকে মাছসহ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই সময় ২ জেলেকে জলদস্যুরা পানিতে ফেলে দেয়। গতরাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি বলে বোট মালিক সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, কয়েকদিন আগে বাঁশখালীর চাম্বল এলাকা থেকে সাহাব উদ্দিনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া-১ ও মো. আবদুল্লাহর মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দান-১ ও এফবি আল্লাহর দান-২ মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। মাছ ধরে গতকাল শনিবার কূলে ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ডাকাতের কবলে পড়ে। এই সময় ডাকাতদল মাছসহ তাদের সর্বস্ব লুটে নেয়। ডাকাতদের বাধা দিতে গিয়ে কুতুবদিয়ার মো. আনোয়ার ও চকরিয়ার জেলে মো. হোছাইনকে জলদস্যুরা পানিতে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় ডাকাতের কবলে পড়া বোট মালিক মো. সাহাব উদ্দিনের ভাই হেফাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে ফেরার পথে আমার ভাইয়ের বোটসহ ৩টি বোট ডাকাতির কবলে পড়ে। ডাকাতেরা ৩টি বোটের মাছসহ ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে ২ জেলেকে সাগরে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল উদ্দিন বলেন, এই ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সাগরে বর্তমানে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়াতে বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক জলদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ কয়দিনে বাঁশখালী, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও চকরিয়ার বেশ কয়েকজন জলদস্যু আটক ও ক্রস ফায়ারে নিহত হলে জেলেরা আশা করেছিল এবার নিরাপদে মাছ ধরতে পারবে তারা। কিন্তু গতকালের ঘটনায় আবারো শংকিত হয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা।