বঙ্গবন্ধু আদর্শে আদর্শিত হয়ে ১৯৮৮ সালে নন্দনকানন ইউনিট ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। ১৯৮৯ সালে এনায়েত বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর চট্টলবীর, চট্টলপিতা প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী সংস্পর্শে এসে রাজনৈতিক জীবনে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি, ১৯৯৭ সালে ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ এর জি-এস নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৯৯৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১০ সালে আবারও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগ এর উপ-অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৮৯ সালে যখন সৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী নির্দেশনায় রাজপথ আন্দোলনে বলিষ্ঠ হাতে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। ১৯৯০ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অধীনে জাতীয় নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই চার দলীয় জোটের ক্যাডার, সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগ, যুবলীগ,আওয়ামীলীগের কর্মীদের উপর নির্যাতন, খুন, গুম,ও মামলা দেয়া শুরু করে। এর সাথে সাথে সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি জায়গা দখল সহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিএনপি – জামাত জোটের ক্যাডাররা। সংগঠনের সেই দূঃসময়ে এবং বিরোধী দল থাকার সময়ে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অমানবিক নির্যাতনের শিকার এবং ৩৭ টি মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে ও রাজপথে থেকে সংগঠনকে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
আওয়ামী রাজনীতির দুঃসময়ে বিএনপি জামাত জোটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের রাজপথে একমাত্র নির্ভয়ে সোচ্চার ছিলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। বিএনপি জামাত জোটের এত নির্যাতনের পরেও সেই সময় বাবর সংগঠনের হাল ছাড়েননি।
বিএনপি জামাত জোট বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।বাবর কোন সময় বিএনপি জামাতের সাথে আতাঁত বা আপোষ করেনি। একসময় চট্টগ্রামে শিবিরের দূর্গখ্যাত চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্টুন লাগিয়ে জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত করে জামাত শিবিরের শক্ত ঘাটি ভেঙ্গে দিয়ে শিবির সন্ত্রাসীদের বিতারিত করতে সক্ষম হয়েছিলো এই হেলাল আকবর চৌধূরী বাবর। বীর চট্টলার সিংহ পুরুষ জননেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বাবর। তিনি এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল’র হাত ধরে তার বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে সংগঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের আশা তিনি এভাবে মানুষের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবেন সারাজীবন।