চীনের জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে কমছে

| মঙ্গলবার , ২৬ জুলাই, ২০২২ at ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

চীনে রোববার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি প্রদেশে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম শিশু জন্মেছে। চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে এবং ২০২৫ সালের আগেই জনসংখ্যা আরও নিম্নমুখী হতে শুরু করবে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন উর্ধ্বতন এক চীনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। রোববার দেশটির জন্মহার নিয়ে একটি সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ পেয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২১ সালে চীনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম শিশু জন্ম নিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
হুনান প্রদেশে প্রায় ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথম পাঁচ লাখের কম শিশু জন্মেছে। আর গোটা দেশের মধ্যে শুধুমাত্র দক্ষিণের গুয়াংডং প্রদেশে গত বছর ১০ লাখের বেশি শিশু জন্মেছে বলে জানিয়েছে চীনের দৈনিক ‘দ্য গ্লোবাল টাইমস’। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চীনে কঠোর এক সন্তান নীতি প্রচলিত ছিল।কিন্তু সেই চীনেই এখন জন্মহার দ্রুত কমতে থাকাটা সরকারের মাথা-ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।
জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় এবং প্রচণ্ড ব্যস্ত জীবন ও কর্মক্ষেত্রে অস্বাভাবিক চাপসহ আরা নানা কারণে দেশটির তরুণরা সন্তান জন্মদানে আগ্রহ হারাচ্ছে।
ফলে ভবিষ্যতের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কী হবে তা নিয়ে এখনই চীনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। চীনের ন্যাশনাল হেল্‌থ কমিশনের জনসংখ্যা এবং পরিবার বিষয়ক প্রধান ইয়াং ওয়েনঝুয়াংর বরাত দিয়ে গ্লোবাল টাইমস বলেছে, চীনের জনসংখ্যা ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আরও নিম্নমুখী হতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকার গত বছর থেকে জন্মহার বাড়াতে চীনে আইন করে নারীদের তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিলেও তা জন্মহারের গ্রাফ পরিবর্তনে কাজে আসেনি। অনেক নারীই বলছেন, সরকার সন্তান জন্মদান আইন পরিবর্তনে অনেক বেশি দেরি করে ফেলেছে। তাছাড়া, কর্মসংস্থানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব এবং সমাজে লিঙ্গ সমতা না থাকায় নারীরা সন্তান জন্মদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেলেনস্কির সরকার উৎখাতের হুঁশিয়ারি দিলেন লাভরভ
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর