মহসিন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স শেষ করে বিএম কন্টেনার ডিপোতে চাকরিতে যোগ দেন বাঁশখালীর ছনুয়া গ্রামের মাস্টার ফয়েজ আহমদের ছেলে মোমিন (২৫)। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মোমিন মেঝ। পরিবারের আর্থিক দুর্দশা গুছাতে অনার্স শেষ করে তিন মাস আগে চাকরিতে যোগ দেন মোমিন। একই সাথে মাস্টার্সও পড়ছিলেন মহসিন কলেজে।
কিন্তু গতকাল রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোমিনের মাস্টার্স পড়ার স্বপ্ন চিরদিনের জন্য মুছে যায়। রাত ১১টায় যখন এই কন্টেনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটে তখন মোমিন ডিউটিতে ছিলেন। তার সহকর্মীরা আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে থাকলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিস্ফোরিত কন্টেনার এসে পড়ে মোমিনসহ অপরজনের ওপর। দগ্ধ অবস্থায় মোমিনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাত সাড়ে ১২টায় চমেক হাসপাতালে মোমিনের চাচাত ভাই ফরহাদের সাথে কথা হলে তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, মোমিন তিন মাস আগে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। চাকরিরত অবস্থায় মাস্টার্সে পড়ালেখাও করছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল মাস্টার্স পাস করে ব্যাংকে চাকরি করবেন। তার বড় ভাই চকরিয়ায় চাকরি করেন। তার ছোট একটি বোন আছে। আমার ভাইয়ের এভাবে চলে যাওয়াটা আমি মেনে নিতে পারছি না। তার মা-বাবাকে আমরা কিভাবে শান্তনা দেবো। হাসপাতালে এ সময় মোমিনের আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় পুরো পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।











