মুক্তির আগে প্রযোজকের সঙ্গে শিল্পী ও পরিচালকের দ্বন্দ্ব ‘আশীর্বাদকে’ এনেছিল সংবাদ শিরোনামে; মুক্তির পর প্রথম দুদিনের আয়ে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের আশা পূরণ করতে পারেনি সরকারি অনুদানের এ সিনেমা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান মানিকের এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন মাহিয়া মাহি ও জিয়াউল রোশান। তুমুল আলোচনার মধ্যেই গত শুক্রবার আটটি হলে মুক্তি পায় আশীর্বাদ। খবর বিডিনিউজের।
শনিবার বিকালে রাজধানীর সেনানিবাসে সৈনিক ক্লাব সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যায়, আট-দশজন দর্শক আশীর্বাদ দেখছেন। টিকেট কাউন্টারে বসা বায়োজিদ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বললেন, বিকালের শোতে আট-দশটা টিকেট বিক্রি হয়েছে। শুক্রবারেও সেল ভালো ছিল না। পুরো সপ্তাহ এই সিনেমা চালানো যাবে না।
সৈনিক ক্লাবের তত্ত্বাবধায়ক আনন্দ কুমার জানালেন, শুক্রবার ‘টেনে টুনে’ বিশ হাজার টাকার মত টিকেট বিক্রি হয়েছে আশীর্বাদের। অথচ অন্য সিনেমায় বিক্রি থাকে ৫০ হাজারের উপরে। এমনিতে শনিবারে সেল হয় বিশ হাজার টাকার উপরে। অথচ এই সিনেমায় দশ হাজারও হয়নি।
আনন্দ কুমার বললেন, আমরা সিনেমাটা নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুকিং এজেন্টদের সাথে কথা বলছি। হাওয়া, পরাণ কিংবা মোটামুটি চলবে এমন একটা সিনেমা পেলে আশীর্বাদ নামিয়ে দেওয়া হবে। তবে সেটা না করতে বুকিং এজেন্টদের চাপ আসছে জানিয়ে হল তত্ত্বাবধায়ক বলেন, বুকিং এজেন্ট সিনেমাটা নামাতে চাচ্ছে না। তারা একটা সপ্তাহ চালাতে বলছেন। এক সপ্তাহ চালালে খরচই তো উঠবে না। কেউ কি পকেটের টাকা খরচ করে সিনেমা চালাবে?
অন্য সিনেমার তুলনায় আশীর্বাদ কম চলার কারণ কী? আনন্দ কুমার বললেন, পরাণ আর হাওয়া যে জোয়ার তুলেছিল, আশীর্বাদ তেমন জোয়ার তোলার মত সিনেমা না। প্রধান দুই শিল্পী আর পরিচালকের নাম দেখে সিনেমাটা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ছবি যেমন জমজমাট হওয়ার কথা, আশীর্বাদ ততটা হয়নি। অবশ্য ডিসেম্বরে মুক্তি দিলে কিছু দর্শক মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখতে আসত বলে মনে করেন তিনি।
আশীর্বাদ দেখার অভিজ্ঞতা জানালেন মতিন নামের এক তরুণ। তার ভাষায়, নায়ক-নায়িকা ভালো আছে, এই জন্য দুই-চারজন দেখতে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের ছবি, কিন্তু ওইরকম জমে নাই।