চট্টগ্রামের চার কর অঞ্চলে আয়কর তথ্য সেবা মাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় পেলিক্যান মেহজাবিন কর ভবনের সামনে পায়রা উড়িয়ে আয়কর তথ্য সেবা মাস উদ্বোধন করেন কর অঞ্চল–২ এর কমিশনার মো. আবদুস সোবহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর আপিল অঞ্চল চট্টগ্রামের কর কমিশনার শামিনা ইসলাম, কর অঞ্চল–৪ চট্টগ্রামের কমিশনার আয়শা সিদ্দিকা শেলী, কর অঞ্চল–৩ চট্টগ্রামের কমিশনার মো. মনজুর আলম। এছাড়া চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক বাকাউল্লা চৌধুরী ইরান ও কর বিভাগের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের মতো চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগ মেলার আদলে করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর প্রদান সহজতর করার জন্য সার্কেলভিত্তিক আলাদা আলদা বুথ স্থাপন করেছে। এসব বুথে পুরো নভেম্বর মাসে আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকার প্রদান, রিটার্ন ও চালান ফরম সরবরাহসহ আয়কর এবং রিটার্ন সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ দেওয়া হবে। এছাড়া রূপালী ব্যাংকের একটি বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন রিটার্ন হেল্পডেস্ক থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিলের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সেবাও প্রদান করা হচ্ছে।
অপরদিকে গতকাল প্রথম দিনে কর অঞ্চল–১, ২, ৩ ও ৪–এ স্থাপিত বুথে ৩ হাজার ৬৬৯ রিটার্নের বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৮ হাজার ৪০৬ টাকা। এর মধ্যে কর অঞ্চল–১–এ ১ হাজার ২২৯ রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩১ লাখ ৮ হাজার ৫১৫ টাকা। কর অঞ্চল–২–এ ৭৭৮ রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৯ টাকা। কর অঞ্চল–৩–এ ৬৮৪ রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৩ লাখ ১২ হাজার ৬৫২ টাকা। কর অঞ্চল–৪–এ ৯০৮ রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছে ২২ লাখ টাকা।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–১, ২, ৩ বং ৪ এর বুথ ঘুরে দেখা গেছে, করদাতারা ফরম পূরণ থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। বুথের কর কর্মকর্তারা রিটার্ন দাখিলে তাদের সহযোগিতা করছেন। অনেকে কর সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন করেন, বুথের দায়িত্বরতদের হাসিমুখে প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা যায়।
রিটার্ন জমা দিতে আসা আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ট্যাক্স রিটার্ন দিতে এসেছি। ট্যাক্স দেওয়া প্রত্যেক সক্ষম ব্যক্তির নাগরিক দায়িত্ব। একই ছাদের নিচে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া সেবা পাওয়া যায়। তাই এটাই ভালো দিক।
চাকরিজীবী শওকত আলম জানান, প্রথমবারের মতো আমি আয়কর রিটার্ন জমা দিতে এসেছি। আয়কর নিয়ে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মনে এক ধরনের ভয় কাজ করে। এছাড়া মানুষের মুখে নানা ভোগান্তির কথা শুনতাম।