অনলাইনে শুল্ক পরিশোধে দিনভর ভোগান্তি

চট্টগ্রাম কাস্টমস । বন্দর থেকে পণ্য খালাস ব্যাহত

জাহেদুল কবির | সোমবার , ৪ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে গতকাল ইউজার আইডি দিয়ে আরটিজিএস (রিয়েলটাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) সিস্টেমে শুল্ক পরিশোধে সেবাগ্রহীতাদের দিনভর চরম ভোগান্তি পেতে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার সমস্যাসহ নানা কারণে ইপেমেন্ট সিস্টেম কাজ করেনি বলছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, অনলাইনে নির্ধারিত সময়ে শুল্ক পরিশোধ করতে না পারার কারণে অনেকে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করতে পারেননি। সকাল ১০ টা থেকে ব্যাংকে শুল্ক নেয়া হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কিন্তু ইপেমেন্টের কাজ স্বাভাবিক হয় বিকেল সাড়ে ৩টায়। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা সময় পেয়েছেন মাত্র আধা ঘণ্টা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানিরপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ধাপে ধাপে সকল কাজ অটোমেশন সিস্টেমে আনার উদ্যোগ নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সব ধরনের শুল্ক পরিশোধ অনলাইনে বাধ্যতামূলক করা হয়। আরটিজিএস এর মাধ্যমে শুল্ক পরিশোধ করা বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত পন্থা। এতে খুব দ্রুত শুল্ক পরিশোধ করা সম্ভব। কিন্তু সার্ভারের সমস্যার কারণে শুল্ক পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তারা বলছেন, পেমেন্টের জন্য এনবিআরের সার্ভারের সাথে ব্যাংকের সার্ভার সংযুক্ত থাকে। তবে কোনো একটি সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিলে সমস্যা হতে পারে। বিষয়টি পুরোপুরি টেকনিক্যাল। বিকেলের দিকে সার্ভারের সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে কোনো সমস্যা হয়নি।

জানা গেছে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নির্দেশনা মোতাবেক বাণিজ্য সহজীকরণের অংশ হিসাবে এনবিআর গত ২০১৭ সাল থেকে ইপেমেন্ট সিস্টেম চালু করে। এ পদ্ধতিতে আমদানিকারক বা তার মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে শুল্ককরের অর্থ পরিশোধ করতে পারেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রাব্বানি রিগ্যান দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেমেন্টে আজ (গতকাল) বেশিরভাগ ব্যবসায়ী শুল্ক পরিশোধ করতে পারেননি। ব্যাংকের সার্ভার সমস্যার সমাধান হয়েছে বিকেলে। তাই ব্যবসায়ীরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেও কেবল শুল্ক পরিশাধ করতে না পারার কারণে পণ্য খালাস করতে পারেননি। এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআয়কর তথ্যসেবা মাস শুরু
পরবর্তী নিবন্ধপেনশনার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা মিলবে প্রতি মাসে