আপনি কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম স্ক্রল করতে করতে ক্রমে রেগে যাচ্ছেন? যদি তাই হয়, তাহলে আপনি সম্ভবত রেইজ বেইটের শিকার। খবর বিডিনিউজের।
এবার এই রেইজ বেইটকে ২০২৫ সালের সেরা শব্দ বা বাক্যাংশ নির্বাচিত করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। গেল ১২ মাসে এ শব্দের ব্যবহার তিন গুণ বেড়ে গেছে তুলে ধরে তারা বলছে, রেইজ বেইটের মাধ্যমে এমন প্ররোচনামূলক কৌশলকে বোঝানো হয়, যা মানুষকে বেশি সময় অনলাইনে রাখতে ব্যবহার করা হয়। বর্ষসেরার খেতাব জিততে রেইজ বেইটকে দুটি শব্দকে পেছনে ফেলতে হয়েছে। এর একটি হলো, অরা ফার্মিং, আরেকটি বায়োহ্যাক। বছরজুড়ে মানুষের আলোচনায় কতটুকু স্থান পেয়েছে, মূলত সেটার ভিত্তিতেই সেরা শব্দ নির্বাচন করা হয়।
রেইজ বেইট কী : আপনি যদি শব্দটি নাও জানেন, কিন্তু ফেসবুক ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনিও এই রেইজ বেইটের শিকার। অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারির প্রকাশক অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস বলছে, রেইজ বেইট এমন অনলাইন কনটেন্টকে বোঝায়, যা ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের রাগ বা ক্ষোভ উসকে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়। এ ধরনের কনটেন্ট হতাশাজনক, উস্কানিমূলক বা আপত্তিকর হয়ে থাকে। এ ধরনের কনটেন্ট সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বা ওয়েবসাইটে মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য পোস্ট দেওয়া হয়। এটি ইন্টারনেটের আরেকটি কৌশল ক্লিকবেইটের মতো, যেখানে মানুষকে প্রলুব্ধ করতে কোনো ভিডিও বা লেখায় আকর্ষণীয় শিরোনাম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু রেইজ বেইট কনটেন্ট মূলত মানুষকে রাগানোর দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। বাকি ২ শব্দের কী মানে? : অরা ফার্মিং বলতে বলতে এমন ব্যক্তিত্বকে বোঝানো হয়, যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করেন, যেন তাকে আত্মবিশ্বাসী, শান্ত, বা রহস্যময় মানুষ মনে হয়। অন্যদিকে বায়োহ্যাক মানে হলো, নিজের শারীরিক বা মানসিক কর্মক্ষমতা, স্বাস্থ্য, আয়ু বা সুস্থতা বাড়ানোর চেষ্টা করা। এ চেষ্টা করা হয় খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন, ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট কিংবা প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে।









